পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। ১০ বছরের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলেন ভয়ঙ্কর বিপদ। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানব সভ্যতার জন্য অপেক্ষা করছে মহাপ্রলয়ের মতো বিপর্যয়। রাষ্ট্রসংঘ নিয়োজিত ‘ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ’ (আইপিসিসি)-এর বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিশ্ব উষ্ণায়ন ছিল শুধুই বিপদের আগাম পূর্বাভাস। এবার সরাসরি তার ফল ভুগতে শুরু করেছে মানবগ্রহ। বাদ নেই ভারতও।
সোমবারই দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিওলে আইপিসিসি-র বিশেষ রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। রিপোর্ট বলা হয়েছে, শিল্প বিপ্লব (১৭৫০-১৮৫০)-এর পর থেকে এই প্রথম পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়েছে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কমার পরিবর্তে বেড়েই চলেছে গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমণ। তার জেরে অ্যান্টার্টিকা আর গ্রিনল্যান্ডে বরফ গলার হার আরও বাড়ছে। আরও উষ্ণ হচ্ছে পৃথিবী। অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে ২০৩০-এর মধ্যে এই তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। এই কারণেই ভয়ঙ্কর এবং অভূতপূর্ব উদ্বেগের কথা উল্লেখ করেছেন বিজ্ঞানীরা।পৃথিবীর তাপমাত্রা দেড় ডিগ্রি বেড়ে গেলে কী কী হতে পারে, তার ইঙ্গিত দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। অ্যান্টার্কটিন্টা ও গ্রিনল্যান্ডে আরও দ্রুত গলবে বরফ। দক্ষিণ গোলার্ধে উষ্ণতা বাড়লে তার প্রভাব পড়বে গোটা বিশ্বেই। পাহাড়প্রমাণ হিমশৈল তথা বরফের চাঁই গলে সমুদ্রের জলে মিশবে। আয়তন বাড়বে জলভাগের। ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাবে বাস্তুতন্ত্র।
আর ভারতের ক্ষেত্রে? রিপোর্ট তৈরির দায়িত্বে থাকা অন্যান্যদের মধ্যে এক ভারতীয় বিজ্ঞানী অরোমার রেভি বলেন, এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রভাব পড়বে ভারতেও। মানুষের সহ্যশক্তি বেশি হলেও অনেক প্রাণী, উদ্ভিদ এই উষ্ণতার সঙ্গে যুঝতে পারবে না। দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা, বেঙ্গালুরু, চেন্নাইয়ের মতো মেট্রো শহরগুলি হয়ে উঠবে আরও উতপ্ত। সমুদ্র উপকূলে এবং দ্বীপগুলি ভয়ঙ্কর ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, কারণ সমুদ্রের জলস্তর বাড়বে। আর উষ্ণতা বৃদ্ধি দু’ডিগ্রিতে পৌঁছে গেলে সমুদ্রের তলদেশে প্রায় কোনও উদ্ভিদই বাঁচতে পারবে না।