ফাইল চিত্র।
শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকা আফগানিস্তানের মানুষ ও সাংবাদিকদের উপর যে ভাবে দমনপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে তালিবান, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল রাষ্ট্রপুঞ্জ। অবিলম্বে এ সব বন্ধ করার জন্য তালিবানের উদ্দেশে আহ্বান জানানো হয়েছে।
আজ একটি বিবৃতিতে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার রক্ষা শাখার হাইকমিশনার রবিনা শামদর্শানি বলেছেন, ‘‘গত চার সপ্তাহ ধরে আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে যে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চলেছে, হিংসার মাধ্যমে তার প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে তালিবান। বিক্ষোভকারীদের উপর অস্ত্রশস্ত্র, লাঠি ও চাবুকের ব্যবহার করা হচ্ছে।’’ রাষ্ট্রপুঞ্জের মতে, দেশে এই চূড়ান্ত অনিশ্চয়তার সময়ে আফগানিস্তানের নারী-পুরুষ রাস্তায় নেমে এসেছেন। নারীদের অধিকার রক্ষা, শিক্ষা ও রাজনীতিতে যোগদানের অধিকার, মানবাধিকার রক্ষার দাবি নিয়ে সরব হয়েছেন তাঁরা। ফলে যাঁরা ক্ষমতা দখল করেছে, তাঁদের উচিত আফগান জনগণের এই কথাগুলি শোনা।
সেই রাস্তায় না গিয়ে তালিবান যে ভাবে এই ধরনের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকে বেআইনি ঘোষণা করেছে এবং কাবুলে ইন্টারনেট বন্ধ করেছে, তা নিয়েও রাষ্ট্রপুঞ্জ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ১৫ অগস্ট থেকে আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন সাধারণ মানুষ। বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলছিল। কিন্তু গত বুধবার বিকেলে তালিবানের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, এই ধরনের প্রতিবাদ বেআইনি। আর বিক্ষোভ আটকাতে শক্তিপ্রয়োগ শুরু হয়ে যায়। এ নিয়ে বিভিন্ন রিপোর্টের কথা তুলে ধরে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের বিবৃতিতে।
আফগানিস্তানে নিজেদের অধিকার রক্ষা করতে যে ভাবে পথে নেমেছেন সে দেশের মহিলারা, বলপ্রয়োগ করে তা থামানোর চেষ্টা করছে তালিবান। এমনকি, বিক্ষোভের খবর করতে গিয়ে হিংসার মুখে পড়তে হয়েছে স্থানীয় সাংবাদিকদের। ক’দিন আগেই দু’জন স্থানীয় সাংবাদিককে বিক্ষোভস্থল থেকেই হাত বেঁধে কাবুলের একটি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তারপর তাঁদের ব্যাপক মারধর করে তালিবান। একসময়ে টানা ১০ মিনিট ধরে তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ এনেছিলেন ওই সাংবাদিকদের মধ্যে একজন। আফগানিস্তানের দুই সাংবাদিকের উপর সেই প্রবল অত্যাচারের ছবি সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে দুনিয়ার সামনে। রাষ্ট্রপুঞ্জের বিবৃতিতে বিষয়টির উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘‘কোনও সমাবেশকে বেআইনি ঘোষণা করার পরেও সাংবাদিকেরা যদি তার খবর করতে যান, তেমন পরিস্থিতিতেও তাঁদের উপর হিংসা ও বলপ্রয়োগ করা যায় না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy