আমেরিকার আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে নজর গোটা বিশ্বের। এ বারের ভোট অনেকটাই আলাদা। তার একটা কারণ গত কয়েক মাস ধরে করোনাভাইরাসের তাণ্ডব। সংক্রমণ এড়াতে বেশির ভাগ নাগরিক মেল-ইন-ভোটিং বা পোস্টাল ব্যালট পছন্দ করছেন। ভোটের অব্যবহিত আগে যে বিষয়গুলি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে, তার মধ্যে একটি এই অতিমারি।
আর এই ভোট নিয়ে বেশি উৎসাহের আরেকটি কারণ অবশ্যই বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।কোভিডের বেলাগাম সংক্রমণ এবং ঊর্ধ্বগামী মৃত্যু নিয়ে ক্রমাগত কোণঠাসা হচ্ছে রিপাবলিকানরা। শেষ প্রেসিডেনশিয়াল বিতর্কেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রবল আশাবাদীর মতো দাবি করেছেন। সপ্তাহখানেকের মধ্যে মিলবে অব্যর্থ ভ্যাকসিন! কিন্তু এ কথা আমরা সকলেই গত চার বছরে জেনে গিয়েছি যে, নানা আশ্বাস দিলেও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে এই অতিমারি মোকাবিলার কোনও বাস্তবানুগ রূপরেখা দেওয়ার মতো বিজ্ঞানমনস্কতা ট্রাম্পের নেই। উল্টো দিকে, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী, প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কিন্তু হাজির বিবিধ জনমুখী পরিকল্পনা নিয়ে। স্বাস্থ্যবিমার আকাশছোঁয়া প্রিমিয়াম কমানো এবং ভ্যাকসিন তৈরি হলে সকলের জন্য তা সহজলোভ্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
অতিমারি-পরিস্থিতির বাড়তি পাওনা— দেশজোড়া অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা। ‘বুরো অব লেবার’-এর পরিসংখ্যান বলছে, সেপ্টেম্বর মাসে এ দেশে বেকারের সংখ্যা ৭.৯% বেড়েছে। হোয়াইট হাউস যাঁর দখলেই থাকুক, ভারাক্রান্ত অর্থনীতির দিকবদল নিঃসন্দেহে তাঁর বড় চ্যালেঞ্জ হবে।