Advertisement
E-Paper

আরাকান আর্মির নির্মম অত্যাচার চলছে মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের উপর: মার্কিন সংস্থার রিপোর্ট

আর গত দু’বছরের যুদ্ধে তার পুরোটাই দখল করে নিয়েছে বিদ্রোহী জোট ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’-এর বৃহত্তম সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২৫ ২৩:৩১
আরাকান বাহিনী। ছবি: সংগৃহীত।

আরাকান বাহিনী। ছবি: সংগৃহীত।

মায়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী জোটের বৃহত্তম শরিক আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ আনল আমেরিকার মানবাধিকার সংস্থা ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’ (এইচআরডব্লিউ)। বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া রাখাইন রাজ্যের অধিকৃত এলাকায় আরাকান আর্মির যোদ্ধারা রোহিঙ্গাদের উপর শারীরিক নির্যাতন, বাড়িঘর লুঠপাট এবং গ্রামছাড়া করছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে রিপোর্টে।

মায়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তের মোট দৈর্ঘ্য ২৭১ কিলোমিটার। আর গত দু’বছরের যুদ্ধে তার পুরোটাই দখল করে নিয়েছে বিদ্রোহী জোট ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’-এর বৃহত্তম সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। এমনকী নিয়মিত সীমান্ত লঙ্ঘন করে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশেরও অভিযোগ উঠছে আরাকান বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে! ২০২৩ সালের শেষপর্বে মায়ানমারের সামরিক জুন্টার বিরুদ্ধে লড়াই শুরুর পরে প্রায় দেড় লক্ষ রোহিঙ্গা নতুন করে ঘরছাড়া হয়েছেন বলে সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, একদা সামরিক জুন্টার ‘চক্ষুশূল’ রোহিঙ্গা মুসলিমেরা চলতি যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সরকারি বাহিনীর সহযোগী হয়েছিলেন। আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি (এআরএ), আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) এবং রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজ়েশন (আরএসও)-এর যোদ্ধারা গত এক বছর ধরে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় জুন্টা ফৌজের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে লড়েছিলেন। যদিও তাতে ‘শেষরক্ষা’ হয়নি। রাখাইন প্রদেশের অধিকাংশ এলাকাই জুন্টার হাতছাড়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে আরাকান আর্মির নিশানা হয়েছেন রোহিঙ্গারা।

Arakan Army Myanmar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy