তুরস্ককে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করা হবে। এ বিষয়ে মার্কিন বিদেশ দফতরের অনুমতি মিলেছে। এই সব অস্ত্রের মূল্য সব মিলিয়ে প্রায় ৩০৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ২৬০০ কোটি টাকার সমান!
বৃহস্পতিবার ন্যাটোর বিদেশসচিবদের সঙ্গে এক বৈঠকে যোগ দিতে তুরস্ক সফরে গিয়েছেন মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো। এর পর যুদ্ধবিরতি নিয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য ইস্তানবুলে যেতে পারেন রুবিয়ো। সেই আবহেই পেন্টাগনের তরফে বিবৃতি জারি করে এই তথ্য জানানো হল। তবে এই চুক্তি পাকা হওয়ার জন্য এখনও কংগ্রেসের সম্মতি প্রয়োজন। এ জন্য প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কংগ্রেসে বিজ্ঞপ্তিও পাঠিয়ে দিয়েছে পেন্টাগনের অধীনস্থ ডিফেন্স সিকিউরিটি কোঅপারেশন এজেন্সি (ডিএসসিএ)। কংগ্রেস এই প্রস্তাবিত বিক্রয় নিয়ে আপত্তি না জানালেই চূড়ান্ত সিলমোহর পড়বে চুক্তিতে।
আরও পড়ুন:
ডিএসসিএ জানিয়েছে, আমেরিকার কাছ থেকে আনুমানিক ২২৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ৫৩টি উন্নত মাঝারি পাল্লার আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ‘এআইএম-১২০সি-৮’ এবং ৭৯.১ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ৬০টি ‘এআইএম-নাইনএক্স ব্লক-২’ ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে চেয়েছে তুরস্ক। এগুলি মূলত আধুনিক যুদ্ধবিমানে ব্যবহৃত হয়। নিখুঁত লক্ষ্যভেদে এদের জুড়ি মেলা ভার। এই বিক্রির ক্ষেত্রে মধ্যস্থতা করবে মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থা আরটিএক্স কর্পোরেশন। বিশেষজ্ঞদের মতে, অতীতে নানা বিরোধ থাকলেও নতুন এই অস্ত্রচুক্তি চূড়ান্ত হলে তা ন্যাটো-র সদস্যরাষ্ট্র তুরস্কের সঙ্গে আমেরিকার প্রতিরক্ষা সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক দিনে ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের পরিস্থিতিতে প্রকাশ্যে যে দেশ পাকিস্তানকে সাহায্য করেছে, তা হল তুরস্ক। চার দিনের সংঘাতে ভারতের বহু সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে যে সব ড্রোন উড়ে এসেছিল, তার অধিকাংশই তুরস্কের। তাই পাকিস্তান ও তুরস্কের এই ‘বন্ধুত্ব’কে মাথায় রেখে তুরস্ককে ‘বয়কট’ করার ডাক দেওয়া হয়েছে। সেই আবহেই এ বার জানা গেল, শীঘ্রই তুরস্কের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি করতে পারে আমেরিকা।