Advertisement
E-Paper

কড়া আমেরিকাও, ইয়ামিন তবু অনড়

দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিন সরকারকে কড়া বার্তা দিল ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষ এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে সংবিধান প্রদত্ত অধিকার ফিরিয়ে দিতে এবং পার্লামেন্টকে সুষ্ঠু ভাবে কাজ করতে দিতে বলল তারা।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:০৭

দ্বীপরাষ্ট্রের সঙ্কটে এ বার মুখ খুলল আমেরিকাও।

দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিন সরকারকে কড়া বার্তা দিল ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষ এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে সংবিধান প্রদত্ত অধিকার ফিরিয়ে দিতে এবং পার্লামেন্টকে সুষ্ঠু ভাবে কাজ করতে দিতে বলল তারা। মলদ্বীপের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হলেও সে দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মোহামেদ নাশিদ যে ভারতের সামরিক হস্তক্ষেপ চেয়েছেন, সে সম্পর্কে অবশ্য এখনই কোনও মত প্রকাশ করেনি আমেরিকা। মলদ্বীপে জরুরি অবস্থা জারি এবং নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলির ক্ষমতা খর্ব করার তীব্র নিন্দা করে ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশন সরব হয়েছে।

আন্তর্জাতিক চাপের মুখেও অবশ্য মাথা নোয়ানোর লক্ষণ দেখাচ্ছেন না প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন। বরং তাঁর দাবি, মলদ্বীপে অশান্তি বাধানোর পিছনে অল্প কিছু লোকের ভূমিকা রয়েছে। দেশ এখন বিপদমুক্ত বলেও দাবি তাঁর। সেই সঙ্গেই ভারতের স্নায়ুচাপ বাড়িয়ে তিন ‘বন্ধু দেশ’ চিন, পাকিস্তান এবং সৌদি আরবে বিশেষ দূত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। মোহামেদ নাশিদের ভারতের সামরিক হস্তক্ষেপ প্রার্থনার পরিপ্রেক্ষিতে চিনের হুঁশিয়ারির পরেই ইয়ামিনের এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। যদিও মলদ্বীপের রাষ্ট্রদূতের দাবি, ইয়ামিনের বিশেষ দূতের দিল্লিতেই প্রথমে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দিল্লির তরফে প্রস্তাবিত দিনটি উপযুক্ত নয় বলায় সেই পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে। যদিও দিল্লির দাবি, ভারতের উদ্বেগের বিষয়গুলি নিয়ে মাথাই ঘামাচ্ছে না ইয়ামিন সরকার।

শাসনক্ষমতা হাতে পেয়ে আন্তর্জাতিক মহলে কূটনৈতিক প্রক্রিয়া পুরোদমে চালু রাখার পাশাপাশি বিরোধীদের কড়া হাতে দমনের প্রক্রিয়াও জারি রেখেছে ইয়ামিন প্রশাসন। আজই মলদ্বীপের অস্থায়ী পুলিশ প্রধান আবদুল্লা নওয়াজ বলেছেন, রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির রায় দেওয়ার শর্তে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি আবদুল্লা সইদ এবং আলি হামিদ লক্ষ লক্ষ ডলার ঘুষ নিয়েছেন। রাজনৈতিক বন্দি বলতে তিনি ইয়ামিনের বিরোধীদের কথাই বলতে চেয়েছেন। এই অবস্থায় ইয়ামিনের বিরোধীদের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন বহু দেশ। মলদ্বীপে অশান্তির আবহে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সে দেশে যাতায়াতের বিমান টিকিট বাতিল বা দিন পরিবর্তনের জন্য কোনও রকম চার্জ নেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া।

Maldives Crisis Abdulla Yameen Donald Trump আবদুল্লা ইয়ামিন ডোনাল্ড ট্রাম্প
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy