আফগানিস্তান ছাড়তে তখন মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। কাবুলের হামিদ কারজ়াই বিমানবন্দরের বাইরে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে ১২ জন আমেরিকান সেনার সঙ্গে মৃত্যু হয়েছিল মেরিন সার্জেন্ট ইয়োহানি রোজ়ারিয়োরও। ২৫ বছরের সেই সেনার দেহ গত কাল কফিনবন্দি হয়ে তাঁর বাড়ি ম্যাসাচুসেটসের লরেন্সে এসে পৌঁছল। দিনটি ছিল সেই ১১ সেপ্টেম্বর। ২০ বছর আগে যে দিনটিতে আল কায়দার বিমানহানায় গুঁড়িয়ে গিয়েছিল ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার। যে দিনটির পরেই আফগানিস্তানে সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আমেরিকা।
ইয়োহানিকে সম্মান জানাতে গত কাল লরেন্সে জমায়েত হয়েছিল কয়েক’শো মানুষের। উর্দি পরা মেরিন বাহিনীর সদস্যেরা তাঁর দেহটি নিয়ে আসেন অন্ত্যেষ্টির জন্য। ১২ বছরের ছেলেকে নিয়ে সেখানেই অপেক্ষা করছিলেন মেরি বেথ। তাঁর বড়ছেলেও সেনাবাহিনীতে রয়েছেন। মেরির কথায়, ‘‘রোজ়ারিয়ো আমাদের হিরো। ওঁর জন্যই অপেক্ষা করে রয়েছি। ওঁর সাহস, ত্যাগ সব সময়ে স্মরণে থাকবে।’’