আমেরিকার টাঁকশালে নতুন মুদ্রা বা কয়েন তৈরিতে এ বার কোপ পড়তে চলেছে। সে দেশের অর্থ দফতরকে নতুন মুদ্রা না-তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সমাজমাধ্যমে নিজেই সে কথা জানিয়েছেন তিনি। এ ক্ষেত্রে তাঁর যুক্তি, আমেরিকায় একটি মুদ্রা (যা পেনি নামে পরিচিত) ছাপাতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত খরচ হয়। বিষয়টিকে ‘অপব্যয়’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।
আমেরিকায় এক পেনির মুদ্রামান হল এক ডলারের মাত্র এক শতাংশ। ট্রাম্পের দাবি, সেই পেনি তৈরি করতেই খরচ হয় এক ডলারের দুই শতাংশ। দ্বিতীয় বারের জন্য হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করেই ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, তিনি ব্যয়সঙ্কোচ করতে চান। মনে করা হচ্ছে, ব্যয় কমানোর সেই সামগ্রিক ভাবনা থেকেই এ বার নতুন মুদ্রা তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেন তিনি। তবে ইতিমধ্যেই আমেরিকার অর্থ ব্যবস্থায় যে মুদ্রা বা পেনি ব্যবহৃত হয়, সেগুলির ভবিষ্যৎ কী হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
দ্বিতীয় বারের জন্য প্রেসিডেন্ট হয়ে আমেরিকাকে ফের ‘শ্রেষ্ঠ’ করে তোলার আশ্বাস দিয়েছেন ট্রাম্প। গত সপ্তাহে কানাডা এবং মেক্সিকোর উপর শুল্ক আরোপ করে তিনি জানিয়েছিলেন, ওই দুই দেশ থেকে অবৈধ ভাবে প্রচুর মানুষ আমেরিকায় ঢুকে পড়েন। তারা সীমান্ত সুরক্ষিত না-করলে এবং অবৈধ অভিবাসীদের না-আটকালে শুল্ক জারি থাকবে। কানাডাও পাল্টা ২৫ শতাংশ শুল্ক আমেরিকার উপর চাপানোর কথা ঘোষণা করে। কর চাপানোর হুঁশিয়ারি দেয় মেক্সিকোও। পরে বিতর্কের মাঝে হোয়াইট হাউস জানায়, আপাতত কানাডা-মেক্সিকোর কাছ থেকে বাড়তি শুল্ক নেওয়া হচ্ছে না।
তার পরেও অবশ্য রবিবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট অ্যালুমিনিয়াম এবং ইস্পাতজাত পণ্যের উপর নতুন করে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে বলে ঘোষণা করেছেন। ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই নতুন শুল্কের বিষয়ে সোমবার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করবে হোয়াইট হাউস। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, কানাডা হল আমেরিকার ইস্পাত আমদানির সবচেয়ে বড় উৎস। অ্যালুমিনিয়ামের ক্ষেত্রেও হিসাবটা অনেকটা তেমন। উভয় ক্ষেত্রেই তালিকায় দ্বিতীয় মেক্সিকো।