আমেরিকায় ফ্যাসিবাদ বিরোধী অতি বামপন্থী গোষ্ঠী অ্যান্টিফাকে ‘ঘরোয়া জঙ্গি’ বলে ঘোষণা করার হুঁশিয়ারি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সে দেশের অতি বামপন্থীদের নিশানা করে যাচ্ছেন ট্রাম্প। অতি বামপন্থীদের বিভিন্ন বক্তব্যের জন্যই আমেরিকায় হিংসা ছড়াচ্ছে বলে বার বার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। সম্প্রতি ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত রক্ষণশীল নেতা চার্লি কির্ক খুন হওয়ার পরে অতি বামপন্থীদের বিরুদ্ধে সুর আরও চড়িয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
আমেরিকার অতিবামপন্থী গোষ্ঠী ‘অ্যান্টিফা’কে ‘ঘরোয়া জঙ্গি’ বলে ঘোষণা করা হবে কি না, তা নিয়ে সোমবার প্রশ্ন করা হয় ট্রাম্পকে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, “হ্যাঁ, আমি এটা করব।” আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জানান, তিনি এ বিষয়ে ক্যাবিনেট আধিকারিক এবং বিচার দফতরের সঙ্গে কথা বলবেন। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সমর্থন পেলে তিনি এই পদক্ষেপের দিকে এগোবেন। তবে ট্রাম্প কাকে এবং কী ভাবে ‘ঘরোয়া জঙ্গি’ বলে ঘোষণা করবেন, তা ওই মন্তব্য থেকে স্পষ্ট হয়নি। কারণ, ‘অ্যান্টিফা’র কোনও সদস্য তালিকা বা কোনও গঠন কাঠামো নেই। এই গোষ্ঠীর কোনও স্বতন্ত্র নেতাও নেই। ফলে এই হুঁশিয়ারি কার্যকর করতে হলে, ট্রাম্পের প্রশাসন তা কী ভাবে করবে, সেটি স্পষ্ট নয়।
কির্কের মৃত্যুর পরে ট্রাম্পের এই হুঁশিয়ারি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। বস্তুত, গত কয়েক দিন ধরেই এই ঘটনার জন্য অতি বামপন্থীদের নিশানা করে যাচ্ছেন তিনি। যদিও কির্ককে খুনের ঘটনার সঙ্গে অতি বামপন্থীদের যোগের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্যপ্রমাণ প্রকাশ্যে আসেনি। ওভাল অফিসে ট্রাম্প বলেন, “অ্যান্টিফা ভয়ঙ্কর। এ ছাড়া অন্য কিছু গোষ্ঠীও রয়েছে। আমাদের (দেশে) কিছু কট্টরপন্থী গোষ্ঠী রয়েছে। তারা খুনের ঘটনায় ছাড় পেয়ে যায়।” যদিও কোন খুনের ঘটনার বিষয়ে তিনি এই মন্তব্য করছেন, তা উল্লেখ করেননি ট্রাম্প।
আরও পড়ুন:
এর আগে কির্কের মৃত্যুর পরে এক ভিডিয়োবার্তায় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, “বছরের পর বছর ধরে উগ্র বামপন্থীরা চার্লির মতো দুর্দান্ত আমেরিকানদের নাৎসি এবং বিশ্বের সবচেয়ে নিকৃষ্ট হত্যাকারী এবং অপরাধীদের সাথে তুলনা করে আসছে। আজ আমরা দেশে যে সন্ত্রাস দেখছি, এই ধরনের বক্তব্যই তার জন্য সরাসরি দায়ী। এগুলি এখনই বন্ধ হওয়া উচিত।”