ইজ়রায়েলকে ২০০০ পাউন্ড (৯০৭ কেজি) ওজনের বোমা সরবরাহের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুধু তা-ই নয়, বিভিন্ন সূত্রের দাবি, ইজ়রায়েলের হাতে সেই বোমা তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। আর এই ঘটনাকে ঘিরে আবার যুদ্ধের জুজু দেখছেন অনেকে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজ়রায়েলে হামাস হামলা চালানোর পর থেকে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ভয়ানক আকার নিয়েছিল। ইজ়রায়েল এবং প্যালেস্টাইনে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু যাতে কম হয়, তাই ৯০০ কেজি ওজনের বোমা সরবরাহের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তবে ট্রাম্প এই বোমা সরবরাহে সবুজ সঙ্কেত দিতেই আবার নতুন করে বিপদের আশঙ্কা করছে আন্তর্জাতিক মহল।
দু’দেশের সম্মতিতে যুদ্ধবিরতি চলছে। সেই সঙ্গে যুদ্ধবন্দিদের ফেরানোর প্রক্রিয়াও জারি। সম্প্রতি কয়েক ধাপে বেশ কয়েক জন পণবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। ইজ়রায়েলও তাদের হাতে বন্দি প্যালেস্টাইনিদের ধাপে ধাপে মুক্তি দিচ্ছে। তবে এই পরিস্থিতি কত দিন চলবে, তা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান। যদিও ইতিমধ্যেই হামাসকে সতর্ক করেছেন নেতানিয়াহু। তাই নতুন করে আবার যে সংঘর্ষ শুরু হতে পারে, সে বিষয়ে আশঙ্কাও করছেন অনেকে। আর সেই আশঙ্কাকে বহু গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে ইজ়রায়েলকে আমেরিকার বোমা সরবরাহে ট্রাম্পের ছাড় দেওয়ার ঘটনা।
প্রসঙ্গত, হিজ়বুল্লাহ এবং হামাসের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে ইজ়রায়েল যে দু’টি শক্তিশালী অস্ত্র প্রয়োগ করেছে, তা আমেরিকারই দেওয়া। ওই দুই সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়েছে আমেরিকার এমকে-৮৪ বোমা এবং হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, গত এক বছরে ইজ়রায়েলকে ১৪ হাজার এমকে-৮৪ বোমা সরবরাহ করেছে আমেরিকা। এখনও ১৮০০ বোমা সরবরাহ বাকি। এই দু’টি সামরিক অস্ত্র ছাড়া ফাইটার জেট এফ ৩৫, এফ ১৬, এফ ১৫ ব্যবহার করছে ইজ়রায়েল।