অবশেষে ৪১ দিন পরে মার্কিন সরকারে অচলাবস্থার (শাটডাউন) অবসানের বার্তা মিলল। মঙ্গলবার সকালে (ভারতীয় সময়) আমেরিকার কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সেনেটে এ সংক্রান্ত বিল পাশ হয়েছে। দ্বিস্তরীয় তহবিল প্যাকেজ সংক্রান্ত বিল চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসে।
১০০ সদস্যের সেনেটে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকারের পেশ করা বিলের পক্ষে ভোট পড়েছে ৬০টি। বিপক্ষে ৪০। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বিরোধী ডেমোক্র্যাট শিবিরের আট জন সেনেটর তহবিল প্যাকেজ সংক্রান্ত বিলের সমর্থনে ভোট দিয়েছেন। ফলে পাশের প্রয়োজনীয় ৬০টি ভোট মিলেছে।
আরও পড়ুন:
গত ৪১ দিন ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে মার্কিন ফেডেরাল সরকারের একাধিক দফতর। আপৎকালীন পরিষেবা চালু থাকলেও সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মীরা বেতন পাচ্ছেন না। সেই অচলাবস্থা দূর করতে স্বল্পমেয়াদি তহবিল একত্রিত করার জন্য তিনটি সংশোধনী বিল একত্রে পাশ করা হয়েছে সেনেটে। এর পর হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের অনুমোদন মিললে সেটি অনুমোদনের জন্য যাবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে। অচলাবস্থা কাটাতে নতুন প্রস্তাবটির মধ্যস্থতা করেছেন নিউ হ্যাম্পশায়ারের দু’জন ডেমোক্র্যাট সেনেটর ম্যাগি হাসান এবং জিন শাহিন। এ ছাড়া, মধ্যস্থতাকারীদের মধ্য রয়েছেন এক নির্দল সেনেটর। ডেমোক্র্যাটদের কেউ কেউ এই প্রস্তাবের বিরোধিতাও করেছিলেন প্রকাশ্যে।
প্রসঙ্গত, প্রতি অর্থবর্ষে সরকারের বিভিন্ন দফতরে কাজ চালানোর জন্য মার্কিন কংগ্রেসকে অর্থ বরাদ্দ করতে হয়। অর্থবর্ষ শুরু হয় ১ অক্টোবর থেকে। এই সময়ের মধ্যে সেনেট সদস্যেরা একমত হয়ে ব্যয়বরাদ্দ চূড়ান্ত করতে পারেননি। ফলে ১ অক্টোবর থেকে ট্রাম্প প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ১০০ সদস্যের মার্কিন সেনেটে রিপাবলিকানদের সংখ্যা ৫৩। যে কোনও বিল পাশ করাতে অন্তত সাত জন ডেমোক্র্যাটের সমর্থন তাঁদের প্রয়োজন হয়। সরকারি তহবিল সংক্রান্ত বিলে তা হয়নি। সেই কারণে সেনেটের অনুমোদনও মেলেনি। এর প্রভাব পড়েছে স্বাস্থ্য, পরিবহণ থেকে শুরু করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে। বিমান চলাচলেও সমস্যা হচ্ছে ‘শাটডাউন’-এর কারণে। বিমানকর্মীরা বেতন পাচ্ছেন না। বহু বিমান বাতিল করা হয়েছে। কমিয়ে আনা হয়েছে আসনসংখ্যা। এই পরিস্থিতির জন্য ডেমোক্র্যাটদের দিকেই আঙুল তুলেছিলেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। যদিও শেষ পর্যন্ত বিরোধীদের একাংশই বিল পাশ করতে তাঁর সহায় হল।