পাকিস্তানের শাহবাজ় শরিফ সরকারকে আর্থিক ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনার জন্য তিনটি পরামর্শ দিয়েছে আমেরিকা। ২০২৫ সালের মার্কিন আর্থিক স্বচ্ছতা রিপোর্টে পাকিস্তানের উল্লেখ রয়েছে। এ ছাড়া, প্রতিরক্ষা নিয়েও ভারতের পড়শি দেশটিকে বিশেষ বার্তা দিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। তবে রিপোর্টে ভারতের কোনও উল্লেখ নেই।
বিভিন্ন দেশের সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনার পর্যালোচনা করে প্রতি বছর আমেরিকার বিদেশ দফতর একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। এ বছরের রিপোর্টটি প্রকাশিত হয়েছে গত শুক্রবার। তাতে পাকিস্তান-সহ ৬৯টি দেশের কথা রয়েছে। প্রতি দেশের জন্য পৃথক ভাবে পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন সরকার। সারা বছর ধরে কোন দেশ কী ভাবে বাজেট নিয়ন্ত্রণ করেছে, কোন খাতে কত খরচ হয়েছে, জনসাধারণকে সে বিষয়ে কতটা অবগত রাখা হয়েছে, তার বিস্তারিত বিশ্লেষণ রয়েছে রিপোর্টে। তার পর আর্থিক স্বচ্ছতা উন্নয়নের জন্য সেই দেশের কী কী পদক্ষেপ করা প্রয়োজন, তা উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
পাকিস্তানের জন্য রয়েছে তিনটি পরামর্শ—
প্রথমত, পাকিস্তান সরকারকে তাদের প্রস্তাবিত বাজেটের কথা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জনসাধারণকে জানাতে হবে।
দ্বিতীয়ত, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান-সহ পাকিস্তান সরকারের কোথায় কত টাকা ঋণ আছে, তার বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করতে হবে।
তৃতীয়ত, প্রতিরক্ষা, সামরিক খাত এবং গোয়েন্দা খাতে পাক সরকারের বাজেট জনগণের নজরাধীন থাকা উচিত। এ বিষয়ে সংসদীয় বা নাগরিক তত্ত্বাবধানের ব্যবস্থা করতে হবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সৌদি আরবের সঙ্গে ‘কৌশলগত এবং পারস্পরিক’ প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে পাকিস্তান। তার শর্ত অনুসারে, কোনও একটি দেশ যদি অন্য কোনও দেশের আগ্রাসনের শিকার হয়, তবে তা উভয় দেশের উপরেই আঘাত হিসাবে দেখা হবে এবং সেই অনুযায়ী উভয় দেশ পদক্ষেপ করতে পারবে। পাক প্রতিরক্ষা নীতির ক্ষেত্রে একে বড় পদক্ষেপ হিসাবে দেখা হচ্ছে। পাকিস্তান যে তাদের সামরিক খাতে প্রচুর পরিমাণে অর্থ বরাদ্দ করে, তা সকলেই জানেন। সেই প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনার পরামর্শ দেওয়া হল আমেরিকার তরফে। কোথায় কত ঋণ আছে সরকারের, সামরিক খাতে কত ব্যয় করা হচ্ছে, জনগণকে সেই সংক্রান্ত তথ্য জানাতে বলা হয়েছে। পাকিস্তান সরকারের তরফে এ বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি।