আমেরিকার উপকণ্ঠে ক্যারিবিয়ান সমুদ্রে একটি ডুবোজাহাজ ধ্বংস করেছে মার্কিন সেনাবাহিনী। ডুবোজাহাজকে নিশানা করে হামলার অনুমতি দেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অভিযোগ, ওই ডুবোজাহাজে নিষিদ্ধ মাদক দ্রব্য ছিল। তা আমেরিকায় গুপ্ত পথে পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল। সেই পরিকল্পনাই ভেস্তে দিয়েছেন ট্রাম্প। এই হামলায় ডুবোজাহাজের দু’জন নিহত হয়েছেন। বাকি দু’জনকে আটক করে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
ট্রাম্প নিজেই সমাজমাধ্যমে এই হামলার কথা জানিয়েছেন। মাদকপাচারকারী ডুবোজাহাজটিকে আমেরিকা পর্যন্ত পৌঁছোতে দেওয়া হয়নি। গোয়েন্দা সূত্রে এই ডুবোজাহাজের খবর পাওয়া গিয়েছিল আগেই। ফলে মার্কিন বাহিনী তৈরি ছিল। ট্রাম্পের দাবি, ডুবোজাহাজে ছিলেন চার জন ‘মাদকপাচারকারী জঙ্গি’। তাঁদের মধ্যে দু’জন নিহত হয়েছেন। বাকিরা যথাক্রমে ইকুয়েডর এবং কলম্বিয়ার বাসিন্দা। তাঁদের নিজ দেশে ফিরিয়ে সেখানকার আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।
আরও পড়ুন:
ট্রাম্প লিখেছেন, ‘‘মাদক পাচারের একটা কুখ্যাত পথে ডুবোজাহাজটি আমেরিকার দিকে আসছিল। গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, তাতে ছিল ফেন্টানিল এবং অন্য কিছু নিষিদ্ধ মাদক। যদি তা আমেরিকার উপকূলে পৌঁছোত, অন্তত ২৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারত। এই অভিযানে আমেরিকার কোনও সেনার আঘাত লাগেনি। আমার নজর সব দিকে রয়েছে। স্থলপথে হোক বা জলপথে, আমি থাকতে আমেরিকায় মাদক পাচার চালানো যাবে না।’’ হোয়াইট হাউসের তরফে অভিযানের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়েছে। ডুবোজাহাজটি কী ভাবে ধ্বংস করা হল, তা ভিডিয়োতে রয়েছে।
কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো তাঁদের দেশের এক দুষ্কৃতীর কথা নিশ্চিত করেছেন। অভিযুক্ত কলম্বিয়ায় পৌঁছে গিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘ও যে বেঁচে আছে, আমরা তাতে খুশি। এ দেশের আইন অনুযায়ী ওর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।’’
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আমেরিকায় মাদকচক্রের বিরুদ্ধে কড়া হয়েছেন ট্রাম্প। সমুদ্রে তো বটেই, সীমান্তেও নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। গত সেপ্টেম্বর থেকে ক্যারিবিয়ান সমুদ্রে একাধিক হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী। অন্তত ছ’টি জলযান ধ্বংস করা হয়েছে। অধিকাংশই অবশ্য স্পিডবোট। মার্কিন গোয়েন্দাদের দাবি, মাদক পাচার চক্রের অন্যতম ঘাঁটি রয়েছে ভেনেজ়ুয়েলায়। সেখান থেকে আমেরিকার দিকে এই সমস্ত মাদকবাহী জলযান পাঠানো হয়।