ফাইল চিত্র।
ট্রাস্ট বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে গুগলের বিরুদ্ধে মামলা করল আমেরিকা। গত দু’দশকে কোনও প্রযুক্তি সংস্থার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় মামলা এটি। ২০ বছর আগে মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে এই আইনে মামলা করা হয়েছিল।
গুগলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা প্রভাব খাটিয়ে গ্রাহকদের নিজেদের সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারে বাধ্য করছে। নিজেদের ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করছে গুগল। শুধু তাই নয়, ইন্টারনেটের দুনিয়ায় নিজেদের একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখতে প্রতিযোগিতার বাজার নষ্ট করে দিয়েছে।
ইন্টারনেটের দুনিয়ায় প্রতিযোগিতা বাঁচাতে মার্কিন সরকারের এটা ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। দীর্ঘ দিন ধরেই গুগলের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপপ্রয়োগের অভিযোগ তুলছিলেন মার্কিন আইন প্রণেতারা। এ বার গুগলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে এগিয়ে এল মার্কিন বিচার বিভাগ। গুগলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে আমেরিকার ১১টি রাজ্য— আরকানসাস, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, ইন্ডিয়ানা, কেন্টাকি, লুইসিয়ানা, মিসিসিপি, মিসৌরি, মন্টানা, সাউথ ক্যারোলিনা এবং টেক্সাস।
আরও পড়ুন: করাচিতে আবার বিস্ফোরণ, মৃত ৩, আহত ১৬, অশান্ত হচ্ছে পাকিস্তান
ওয়াশিংটন ডিসি-র ফেডেরাল কোর্টে গুগলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযোগ, বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়ে ফোন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলোকে দিচ্ছে গুগল। এবং তাদের বলা হচ্ছে ফোনের ব্রাউজারে ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে যেন গুগল-ই থাকে।
ওয়েব সার্চে বিশ্বের মধ্যে ৯০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে গুগল। তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ এবং মামলা নিয়ে গুগল টুইট করে জানিয়েছে, বিচার বিভাগ যে মামলা করেছে তার কোনও যৌক্তিকতা নেই। কোনও গ্রাহককে তাদের সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারে বাধ্য করে না গুগল। গ্রাহকরা নিজেদের পছন্দেই এই সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করেন।
(এই প্রতিবেদনটি যখন প্রকাশ করা হয়েছিল তখন ‘অ্যান্টিট্রাস্ট’-কে ‘বিশ্বাসভঙ্গ’ বলে লেখা হয়েছিল। কিন্তু সেটি হবে ‘ট্রাস্ট বা অছি বিরোধী’। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy