এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে কিশোরের নগ্ন ছবি তৈরি করেছিল প্রতারক। মোবাইলে সেই ছবি পাঠিয়ে শুরু হয় হুমকি। প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা (৩ হাজার ডলার) দাবি করা হয়েছিল ১৬ বছরের পড়ুয়ার কাছে। টাকা (ডলার) না পেলে সেই ছবি পর্ন সাইটে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে একের পর এক হুমকিবার্তা দেওয়া হয়। কিন্তু এত টাকা কোথায় পাবে কিশোর! আর না দিলে তো সকলের কাছে তার সম্মানহানি করে দেবে ওই ব্যক্তি! আতঙ্ক এবং আশঙ্কায় নিজেকে শেষ করে দেয় ছেলেটি। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকায়। স্কুলপড়ুয়া এলিজা হেককের অস্বাভাবিক মৃত্যুর প্রায় ২ মাস পরে এই তথ্য জানতে পেরেছে পরিবার।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ১৬ বছরের কিশোরের। বাড়ি থেকেই দেহ উদ্ধার করা হয়। ছেলে কেন এমন চরম পদক্ষেপ করল মাথাতেই ঢুকছিল না বাবা-মায়ের। কেন আত্মহত্যা করল ছেলে? পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি করে পুলিশের দ্বারস্থ হন সন্তানহারা দম্পতি। প্রায় দু’মাস তদন্তের পরে সামনে এল আসল তথ্য!
জানা গিয়েছে, ডিজিটাল প্রতারকদের শিকার হয়েছিল হেকক। বয়ঃসন্ধির কিশোরকে প্রথমে নানা অশ্লীল ছবি পাঠাত প্রতারকেরা। পরে ওই কিশোর নিজেরই একটি নগ্ন ছবি পায় মেসেজে। ঘাম ছুটে যায় তার। কী ভাবে হল এটা? প্রতারকেরা জানান, দাবি মতো অর্থ পেলে সব চাপা থাকবে। আর না হলে ওই ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হবে অন্তর্জাল মাধ্যমে। ভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারেনি কিশোর। আবার এতগুলো টাকাও জোগাড় করতে পারেনি সে। তাই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় ১৬ বছরের ছেলেটি।
আরও পড়ুন:
ছেলের স্মার্টফোন ঘেঁটে প্রথম এই তথ্য পায় তার মা। পুলিশি তদন্তে উঠে আসে যে ছবিটি হেকককে পাঠানো হয়েছিল, সেটি আসল নয়। এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি। কিন্তু ছবিটি বানানো হয়েছে এমন ভাবে যে, খালিচোখে সেটি যে কেউ আসলই ভাববেন। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, সারা দুনিয়ায় এই ‘নতুন’ পদ্ধতিতে ব্ল্যাকমেল শুরু করেছে সাইবার অপরাধীরা। প্রযুক্তির অপব্যবহার করে নেটাগরিকদের চাপে ফেলে সর্বস্বান্ত করে দেওয়া হচ্ছে। ১৬ বছরের হেককও তারই শিকার।