ফাইল চিত্র।
ক্ষমতায় আসার প্রথম ১০০ দিনে দশ কোটি মানুষকে করোনা প্রতিষেধকের অন্তত একটি ডোজ় দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সময়সীমা পেরোনোর ৪২ দিন আগেই তা সম্ভব হয়েছে বলে ঘোষণা করলেন তিনি।
করোনা মোকাবিলায় বাইডেন প্রশাসন কতটা সফল, তারই খতিয়ান তুলে ধরতে সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে একটি সাংবাদিক বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বাইডেন তাঁর প্রথম একক এই সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘গত ৮ ডিসেম্বর আমি জানিয়েছিলাম, আমার কাজের প্রথম ১০০ দিনে ১০ কোটি মানুষকে টিকা দিতে পারব বলে আশা করছি। গত সপ্তাহে মাত্র ৫৮ দিনেই সেই লক্ষ্য ছুঁয়েছি। আজ আমি দ্বিতীয় লক্ষ্য স্থির করছি। এ বার ১০০ দিনে ২০ কোটি মানুষকে টিকা দিতে চাই।’’ তিনি বলেছেন, ‘‘লক্ষ্যমাত্রা দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেওয়াটা হয়তো উচ্চাকাঙ্খা। তবে এ কথাও ঠিক যে গণটিকাকরণের দৌড়ে আমেরিকার ধারে কাছে কেউ নেই। আমরাই সবচেয়ে এগিয়ে।’’
শুধু গণটিকাকরণ নয়, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড় করাতে আমেরিকা সঠিক পথেই এগোচ্ছে বলে মনে করেন বাইডেন। তিনি বলেন, ‘‘অর্থনীতির হাল ফেরাতে ইতিমধ্যে ১৪০০ ডলার করে ১০ কোটি মানুষের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে গিয়েছে। আগামী কিছু দিনের মধ্যে আরও অনেকের অ্যাকাউন্টে অনুদান ঢুকে যাবে।’’ প্রেসিডেন্ট জানান, এই খাতে আরও বেশি অর্থ বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁর প্রশাসন।
সাফল্য এসেছে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেও। প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘প্রথম ১০০ দিনে কেজি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত, অর্থাৎ মিডল স্কুল খুলে দেওয়ার ভাবনা ছিল। ইতিমধ্যে আমরা অন্তত অর্ধেক স্কুল খুলতে পেরেছি। আশা করছি, আগামী ৩৫ দিনে আমরা বাকি স্কুলও খুলতে পারব।’’
ব্রিটেনের করোনা পরিস্থিতি এখনও ভয়াবহ। সম্প্রতি একটি রিপোর্টে জানা গিয়েছে, হাসপাতালে অন্য রোগের চিকিৎসা করাতে এসে ৪০ হাজার ৬০০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্য দিকে, রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষাকারীদের জন্য শনিবার করোনা প্রতিষেধকের ২ লক্ষ ডোজ় উপহার হিসেবে পাঠাচ্ছে ভারত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইতিমধ্যে ৬ কোটি ডোজ় পাঠিয়েছে ভারত। তবে আপাতত প্রতিষেধক রফতানিতে রাশ টানতে চায় বলে জানিয়েছে দিল্লি। গত কয়েক দিনে ভারতে করোনা সংক্রমণ ব্যাপক হারে বেড়েছে। টিকাকরণের গতি বাড়িয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে চাইছে সরকার। তাই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু-এর আশঙ্কা, এর ফলে ধনী আর গরিব দেশে টিকাকরণের বৈষম্য আরও প্রকট হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy