১৯৫৯ সালে চিনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েও ব্যর্থ হয়েছিল তিব্বত। সেই ঘটনার ৬২তম বর্ষপূর্তিতে বুধবার তিব্বতিদের মিছিল, সমাবেশ। রয়টার্স।
তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামার উত্তরসূরি নির্বাচনে চিন যেন কোনও ভাবে হস্তক্ষেপ না-করে, হুঁশিয়ারি দিল আমেরিকা।
আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, ‘‘পরবর্তী দলাই লামা নির্বাচনের ক্ষেত্রে চিনের কোনও ভূমিকা থাকতে পারে না।’’ একইসঙ্গে ২৫ বছর আগে পাঞ্চেন লামার উত্তরসূরি নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় চিন যে ভাবে নাক গলিয়ে ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছিল, সে কথাও তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন। তিব্বতে দলাই লামার পরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ এই পাঞ্চেন লামার। ২৫ বছর আগে রহস্যজনক ভাবে ‘নিখোঁজ’ হয়ে যায় তৎকালীন পাঞ্চেন লামা। তখন সে নেহাতই শিশু। তার পরিবর্ত হিসেবে চিন সরকার নিজেদের মনোনীত প্রার্থীকে ওই পদে বসাতে চেয়ে গুরুতর ভাবে ধর্মীয় স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করেছিল বলে মত আমেরিকার।
১৯১৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি তিব্বতের ১৩তম দলাই লামা স্বাধীন তিব্বতের কথা ঘোষণা করেন। সেই থেকে দিনটি তিব্বতের স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। তবে মানবাধিকার কর্মীদের মতে, ১৯৫০ সাল থেকে তিব্বতের উপরে ফের আধিপত্য বিস্তার করেছে চিন। তখন থেকে তিব্বতের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্বাধীনতাও ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। চিনের চাপেই ১৯৫৯ সালে ভারতে পালিয়ে আসেন দলাই লামা। তার পর থেকে উত্তর ভারতের ধর্মশালায় আশ্রয় নিয়েছেন তিনি।
তিব্বতের উপরে চিনের হস্তক্ষেপ রুখতে আগেও সচেষ্ট হয়েছে আমেরিকা। প্রাক্তন ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের আমলে এ বিষয়ে একটি আইন পাশ হয়। তাতে বলা হয়, যে সমস্ত চিনা আধিকারিকেরা দলাই লামার উত্তরসূরি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করবেন, তাঁদের উপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে আমেরিকা। আইনটি মার্কিন কংগ্রেসের দুই কক্ষেই বিপুল সমর্থন পেয়ে পাশ হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy