প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল চিত্র।
গত এক বছর ধরে সম্পর্কের ওঠাপড়া চলছে। তারই মধ্যে ভারত এবং বাংলাদেশের ‘সোনালী অধ্যায়’ তকমাটিকে উজ্জ্বল করতে আগামী ১৭ ডিসেম্বর শীর্ষ বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভিডিয়ো মাধ্যমে এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকটি হবে বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গিয়েছে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলে আগামী বছর ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন অনুষ্ঠানে ঢাকায় থাকবেন মোদী।
দু’মাস আগে বিদেশনীতি সংক্রান্ত এক আলোচনায় বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা জানিয়েছিলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে তৈরি হওয়া দূরত্ব ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কে কিছু অবিশ্বাস ও ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করেছে। সম্পর্কের গুমোট ভাব কাটাতে করোনা আবহাওয়ার মধ্যেও তিনি নিজেই গিয়েছিলেন ঢাকায়। তার পরে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে অস্বস্তিগুলিকে কাটিয়ে পারস্পরিক আস্থা বাড়াতে ভিডিয়ো মাধ্যমে বসেছে ‘জয়েন্ট কনসাল্টেটেটিভ কমিশন’ (জেসিসি)-এর বৈঠক। সম্পর্কে গতি আনতে ডিসেম্বরের ৮ তারিখ নয়াদিল্লি সফরে আসার কথা রয়েছে বাংলাদেশের বিদেশসচিবের। ১৭ তারিখের শীর্ষ বৈঠক এবং মোদীর প্রস্তাবিত ঢাকা সফর নিয়ে ওই দিন আলোচনা হবে দু’দেশের বিদেশসচিবের।
কূটনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, ভারত এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ভিডিয়ো বৈঠকটির পরে চারটি চুক্তিপত্র (মউ) সই হওয়ার কথা। রাজনৈতিক সূত্রের মতে, বিদেশ মন্ত্রক বরাবরই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে তৎপর। কিন্তু সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রকের মধ্যে এ বিষয়ে তালমিলের অভাব দেখা গিয়েছে সম্প্রতি। বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের প্রশ্নে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রীর অবস্থানের পার্থক্য খুবই প্রকট হয়ে উঠতে দেখা গিয়েছে। ‘উইপোকা’ মন্তব্যটি নিয়ে প্রবল ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল ঢাকায়। পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ নিয়েও মনান্তর হয়। এর পরে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে অনুপ্রবেশের বিষয়টি ফের সামনে নিয়ে আসবে বিজেপি নেতৃত্ব, এমনটা আশঙ্কা করছে ঢাকা। বাংলাদেশ সূত্রের বক্তব্য, ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে শোনা যাচ্ছে যে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে, বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে সীমান্ত সিল করে দেওয়ার দাবি তোলা হবে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে আওয়ামি লিগ সরকারের মধ্যেও। দু’দেশের শীর্ষ বৈঠকে এই সব বিষয় উঠে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশের সংবেদনশীলতার বিষয়টি নির্বচনী প্রচারে এ বার খেয়াল রাখা হবে বলে আশা করছে ঢাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy