Advertisement
E-Paper

রোজ ১২ কিমি পথ পেরিয়ে মেয়েদের স্কুলে নিয়ে যান বাবা, কারণ শুনে প্রশংসায় ভাসাল নেটদুনিয়ায়

এই ঘটনার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই নেটিজেনদের প্রশংসায় ভাসলেন আফিগানিস্তানের শারানা এলাকার বাসিন্দা মিয়া খান।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৫:০৫
মেয়ের সঙ্গে আফগানিস্তানের মিয়া খান। ছবি ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।

মেয়ের সঙ্গে আফগানিস্তানের মিয়া খান। ছবি ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।

নিজে দিন মজুরের কাজ করে দিন গুজরান করেন। কিন্তু মেয়েদের পড়াশোনার ব্যাপারে সজাগ তিনি। তাই রোজ ১২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে মেয়েদের নিয়ে যান স্কুলে। এই ঘটনার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই নেটিজেনদের প্রশংসায় ভাসলেন আফিগানিস্তানের শারানা এলাকার বাসিন্দা মিয়া খান।

আফগানিস্তানের পাকটিকা প্রদেশের শারানা অঞ্চল। পাকিস্তান সীমান্ত থেকে খুব বেশি দূর না। তালিবানদের প্রভাব এখনও ওই এলাকায় যথেষ্ট পরিমানে রয়েছে। তাই সেই এলাকার মেয়েদের স্কুলে যাওয়া খুব একটা হয় না। কিন্তু লেখাপড়ার গুরুত্ব বোঝেন পেশায় দিন মজুর মিয়া খান। কিন্তু বাড়ির কাছে নেই স্কুল। বাড়ি থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে স্কুল খুলেছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। সেখানেই রোজ মেয়েদের নিয়ে যান তিনি। মেয়েদের পড়াশোনা শেষ না হওয়া অবধি অপেক্ষা করেন বাইরে। তার পর বাড়ি নিয়ে আসেন মেয়েদের।

এই ঘটনার কথা নিজেদের ফেসবুক পেজ থেকে শেয়ার করেছে সুইডিশ কমিটি ফর আফগানিস্তান। তার পরই মিয়া খানকে প্রশংসার বন্যায় ভাসিয়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা। যে এলাকায় মিয়া থাকেন, সেখানে কোনও মহিলা চিকিৎসক নেই। সে জন্যই মেয়েদের লেখাপড়া শেখাতে চান তিনি। মিয়া বলেছেন , ‘‘আমি নিরক্ষর। দিনমজুরের কাজ করে দিন কাটায়। কিন্তু মেয়েদের পড়াশোনা করানো আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আমাদের এলাকায় কোনও মহিলা চিকিৎসক নেই।’’ ছেলেদের মতোই মেয়েদেরও পড়াতে চান বলে জানিয়েছেন তিনি।

পড়াশোনার সুযোগ পেয়ে খুশি মিয়া খানের মেয়ে রোজি। এ বছর ষষ্ঠ শ্রেণিতে উঠেছে সে। সুইডিশ কমিটি ফর আফগানিস্তানকে সে জানিয়েছে, ‘‘বাবা রোজ মোটরসাইকেলে করে আমাদের স্কুলে নিয়ে আসে। স্কুল শেষ হলে বাবার সঙ্গেই বাড়ি ফিরে যায় আমরা।’’

আরও পড়ুন: অবাক করা ভিডিয়ো, চিতাবাঘকে মারতে যাচ্ছে বাচ্চা নায়ালা!

আরও পড়ুন: টেপ দিয়ে দেওয়ালে আটকানো এই কলার দাম ৮৫ লক্ষ টাকা! কেন জানেন

Afghanistan School Viral Education
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy