আমেরিকার ভিসা পেতে হলে এখন দিতে হবে ‘ইন্টিগ্রিটি ফি’। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ৪ জুলাই ‘বড় সুন্দর বিল’ সই করেছেন। তার অধীনেই আমেরিকার ভিসার জন্য ‘ইন্টিগ্রিটি ফি’ হিসেবে ২৫০ আমেরিকান ডলার দিতে হবে। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২১ হাজার টাকা। এর ফলে যাঁদের বেড়াতে, পড়াশোনার জন্য বা কোনও কাজের জন্য আমেরিকা যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, তাঁদের ভিসার জন্য অতিরিক্ত টাকা গুনতে হবে। ২০২৬ সাল থেকে এই ফি দিতে হবে। এত দিন আমেরিকায় ঘুরতে বা কাজে গেলে ভিসার খরচ মাথাপিছু ১৬ হাজার টাকার মধ্যে হয়ে যেত। ২০২৬ সাল থেকে সেই খরচ প্রায় ৪০ হাজার টাকার মতো হবে।
‘ইন্টিগ্রিটি ফি’ কী?
এখন আমেরিকার ভিসা পেতে যে খরচ, তার সঙ্গে আরও প্রায় ২৫০ আমেরিকান ডলার দিতে হবে। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২১ হাজার টাকা। ভিসা ইসু করার সময় এই টাকা দিতেই হবে। ২০২৬ সাল থেকে নিয়ম চালু হবে। তবে এই ‘ইন্টিগ্রিটি ফি’ কিন্তু স্থির নয়। প্রতি বছর মূল্যবৃদ্ধি অনুযায়ী বাড়বে বা কমবে।
কাদের দিতে হবে?
যাঁরা সাময়িক ভাবে (নন ইমিগ্র্যান্ট) থাকার জন্য আমেরিকায় যাচ্ছেন, তাঁদেরই এই ফি দিতে হবে। বি-১ বা বি-২ (পর্যটন বা ব্যবসার ভিসা), এফ এবং এম (পড়াশোনার ভিসা), এইচ-১বি (কাজের ভিসা), জে (বিনিময় কর্মসূচি)— এগুলির জন্য যাঁরা আবেদন করবেন, তাঁদেরই এই ‘ইন্টিগ্রিটি ফি’ দিতে হবে। কূটনৈতিক ভিসার জন্য এই ফি দিতে হবে না।
এখন খরচ কত?
এখন বি-১, বি-২ ভিসার খরচ প্রায় ১৮৫ আমেরিকান ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৫ হাজার টাকা। পরের বছর থেকে তার সঙ্গে যোগ হবে ‘ইন্টিগ্রিটি ফি’। পাশাপাশি, আই-৯৪ ফি (২৪ ডলার যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২ হাজার টাকা), ইএসটিএ ফি (১৩ ডলার যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১০০০ টাকা)-সহ বেশ কিছু ফি যোগ হবে। এর ফলে আমেরিকার ভিসা পেতে গেলে প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ করতে হবে ভারতীয়দের।
কিছু ক্ষেত্রে এই ফি ফেরানো হতে পারে। যদি গ্রহীতা ভিসার সব শর্ত পূরণ করেন, যেমন ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যেই আমেরিকা ছেড়ে দেন বা ভিসা নিয়ে সে দেশে বসবাসের সময়ে গ্রিন কার্ড পেয়ে যান, তবে এই ‘ইন্টিগ্রিটি ফি’ ফেরানো হতে পারে। তবে ভিসা নীতি লঙ্ঘন করলে তা ফেরানোর কোনও সম্ভাবনাই নেই।
প্রশ্ন উঠছে, কেন আমেরিকা এই ফি চাপাল? প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আমেরিকায় গিয়ে বিদেশি নাগরিকেরা যাতে আইন মেনে কাজ করেন এবং নিয়ম মেনে সে দেশ ত্যাগ করেন, তাই এই ফি রাখা হয়েছে। আমেরিকার ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি (ডিএইচএস) এই নীতি পরিচালন করবে।