অন্তর্বাস পরে বিছানায় বসে ফোনে কথা বলছেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী সঞ্জয় শিরসাট। পাশে রয়েছে ব্যাগ। অভিযোগ, ওই ব্যাগে রয়েছে নগদ। সেই ভিডিয়ো ফাঁস হতেই শোরগোল শুরু হয়েছে (আনন্দবাজার ডট কম ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি)। যদিও মন্ত্রী দাবি করেছেন, তাঁর পাশে রাখা ব্যাগে জামাকাপড় ছিল। কিন্তু মহারাষ্ট্রের বিরোধী দল শিবসেনা (ইউবিটি) তা মানতে নারাজ। প্রসঙ্গত, মন্ত্রী শিরসাটকে আয়কর দফতর নোটিস পাঠিয়েছে। বৃহস্পতিবারই সেই নোটিস পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন তিনি। আয়কর দফতরের নজরে ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে মন্ত্রীর সম্পত্তি বৃদ্ধি। এই নিয়ে শিরসাটের ব্যাখ্যাও চেয়েছে তারা।
ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন শিবসেনার উদ্ধব শিবিরের নেতা সঞ্জয় রাউত। তিনি লিখেছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসের জন্য খারাপ লাগে! আর কত বার বসে বসে নিজের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে দেখবেন তিনি? অসহায়তার আর এক নাম— ফডণবীস।’’
একনাথ শিন্দে শিবিরের নেতা শিরসাট অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার আয়কর দফতরের নোটিস পাওয়ার কথা স্বীকার করার পরেও তিনি পরোক্ষে আঙুল তুলেছিলেন বিরোধীদের দিকেই। তিনি বলেন, ‘‘কয়েক জন আমার বিরুদ্ধে আয়কর দফতরে অভিযোগ করেছিলেন। তার ভিত্তিতেই আমাকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। বুধবার জবাব দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সময় চেয়ে নিয়েছিলাম। সঠিক জবাব দেব। কোনও ভুল করিনি।’’ তিনি আরও দাবি করেন, মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী শিন্দের পুত্র তথা সাংসদ শ্রীকান্ত শিন্দেকেও একই নোটিস পাঠানো হয়েছে। যদিও পরে তা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘‘আমায় প্রশ্ন করা হয়েছিল। তার জবাবে আমি যা বলেছিলাম, তা এমন ভাবে তুলে ধরা হয়, যাতে মনে হচ্ছে, শ্রীকান্তকে আয়কর দফতরের নোটিস পাঠানোর কথা আমি নিশ্চিত করেছি। আমি বলতে চাই, এই বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’’
মহারাষ্ট্রে বিরোধীরা যদিও তাতে দমছে না। শিবসেনার উদ্ধব শিবিরের নেতা আদিত্য ঠাকরে বলেন, ‘‘গেঞ্জি আর অন্তর্বাস পরে বসে রয়েছেন সঞ্জয় শিরসাট। আমরা নগদের (খোকে) কথা বলেছিলাম। ভিডিয়োয় স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। ওই টাকা কোথা থেকে এল? কে দিলেন? এই নোট নিয়ে কি কেউ ঘুরে বেড়াতে পারেন? যে নোটিস আয়কর দফতর পাঠিয়েছে, তা নিয়ে কি তারা কোনও পদক্ষেপ করবে? মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কি কোনও পদক্ষেপ করা হবে? এই প্রশ্নগুলির জবাব প্রয়োজন।’’
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে ছত্রপতি সম্ভাজিনগরে একটি কর্মসূচিতে শিরসাটকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘কালো টাকা এখন আর কাজে লাগে না। নিজের জন্যই বলেছিলাম।’’ সে সময় দর্শকদের হাসতেও দেখা যায়। তার পরে শিরসাট আরও বলেন, ‘‘টাকা রোজগার সহজ, কিন্তু তা ব্যবহার করা কঠিন।’’ পরে সেই প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী দাবি করেন, তিনি ঠাট্টা করেই ও সব বলেছিলেন।