E-Paper

পুতিনের নির্দেশ, তৈরি থাকুক ‘স্যাটান-২’

সম্ভাব্য পরমাণু যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র ‘স্যাটান-২’ তৈরি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন রুশ সেনাবাহিনীকে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৫৫
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। —ফাইল চিত্র।

ইউরোপ-আমেরিকাকে মাঝেমধ্যেই হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ইউক্রেনকে অস্ত্র দেওয়া বন্ধ না-করলে তার পরিণতি কতটা নৃশংস হবে, বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ বারে নতুন হুমকি। সম্ভাব্য পরমাণু যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র ‘স্যাটান-২’ তৈরি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন রুশ সেনাবাহিনীকে।

সম্প্রতি রাশিয়ার জমিতে তাদের পাঠানো ক্ষেপণাস্ত্র ফেলার অনুমতি দেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর পরেই একই ছাড়পত্র দিয়েছে ব্রিটেন। দুই দেশই ইউক্রেনে যুদ্ধাস্ত্র পাঠানো বাড়িয়েছে। ব্রিটেন-আমেরিকার অনুমতি পেতেই রাশিয়ার জমিতে আমেরিকার তৈরি এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র ফেলেছে ইউক্রেন। এক দিনের ব্যবধানে ব্রিটেনের স্টর্ম শ্যাডো-ও ফেলেছে তারা। এর পরেই রাশিয়া ঘনঘন হুমকি দেওয়া শুরু করেছে। তারা পরীক্ষামূলক ভাবে ইউক্রেনে অতি শক্তিশালী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও ফেলেছে। সেই সঙ্গে পরমাণু অস্ত্র ফেলার ভয় দেখানো চলছে। রুশ সরকারি মিডিয়াকে উল্লেখ করে একাধিক রিপোর্ট সামনে এসেছে। তাতে লেখা হয়েছে, পুতিন জানিয়েছেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব’ স্যাটান-২ প্রস্তুত করতে হবে।

‘স্যাটান’ হল একটি আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম)। প্রথমে এর নাম ছিল ‘আরএস-২৮ সারম্যাট’। হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে কোনও জায়গায় পরমাণু অস্ত্র ফেলায় সক্ষম এটি। হুনদের সঙ্গে লড়াই করা যাযাবর গোষ্ঠী সামারিটানসদের নামে এর নাম রাখা হয়েছিল। পরে নাম বদলে স্যাটান-২ রাখা হয়। এই নাম নিয়ে বরং বহু চর্চা রয়েছে পশ্চিমের সংবাদমাধ্যমে। সাম্প্রতিক কালে সব বিতর্ক উড়িয়ে নিয়ে পুতিন বারবারই স্যাটানের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন। বিশেষ করে, গোপন সূত্রে খবর রয়েছে, জানুয়ারি মাসে ইউক্রেনকে পরমাণু অস্ত্র পাঠাতে পারে বাইডেনের নেতৃত্বাধীন আমেরিকা। তাতে আরও সাবধানী পা ফেলতে চাইছে ক্রেমলিন। শোনা গিয়েছে, প্রেসিডেন্টের দফতর ছাড়ার আগে এমন একটি কাজ করে যেতে পারেন বাইডেন। সেই নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। আমেরিকার নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পুতিনের ঘনিষ্ঠ। নির্বাচনী প্রচারের সময় থেকেই তিনি বলে আসছেন, তিনি ক্ষমতায় এলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে দেবেন। অস্ত্র পাঠানো বন্ধ করে দেবেন। তাই বিদায়বেলায় বাইডেনের সিদ্ধান্তের মধ্যে রাজনীতি দেখতে পাচ্ছেন অনেকেই।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Russia Europe america

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy