মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে অশান্তি করে ‘বড় ভুল’ করেছেন টেসলার কর্ণধার ইলন মাস্ক। এমনটাই মনে করেন আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স। তিনি জানিয়েছেন, মাস্ক যা করলেন, তাতে তাঁর নিজেরও ক্ষতি হবে, আমেরিকার মানুষেরও ক্ষতি হবে। এখনও ট্রাম্প-মাস্ক সম্পর্ক মেরামত সম্ভব বলে মনে করেন ভান্স। কী ভাবে পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক হতে পারে, সেই উপায় বলে দিয়েছেন তিনি।
ট্রাম্পের সঙ্গে মাস্কের বিবাদ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে একটি সাক্ষাৎকারে ভান্স বলেছেন, ‘‘আমার মনে হয়, ইলন যদি একটু মাথা ঠান্ডা করেন, সব ঠিক হয়ে যাবে। কারণ এটা সকলের সঙ্গেই হয়ে থাকে। আমিও মেজাজ হারিয়ে ফেলি।’’ মাস্ককে ‘আবেগপ্রবণ মানুষ’ হিসাবে ব্যাখ্যা করেছেন ভান্স। তাঁর মতে, আবেগপ্রবণ হওয়ার কারণেই সামান্য বিষয়ে মাস্ক মাথা গরম করে ফেলেছেন। সাক্ষাৎকারে ভান্স বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, এ ভাবে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গিয়ে মাস্ক বড় ভুল করলেন। এটা দেশের জন্য খারাপ। মাস্কের জন্যও খুব একটা ভাল ব্যাপার নয়। আশা করি, মাস্ক আবার মাঠে ফিরবেন। যদিও এখনই হয়তো সেটা সম্ভব হবে না।’’
আরও পড়ুন:
পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা সম্ভব, ভান্স এ কথা মনে করলেও কিন্তু প্রেসিডেন্ট নিজে তা মনে করছেন না। ট্রাম্প সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, মাস্কের সঙ্গে তাঁর ‘সম্পর্ক শেষ’। কথা বলে সমস্যা সমাধানের কোনও পরিকল্পনাও তাঁর নেই। মাস্কের সঙ্গে তিনি কথাই বলতে চান না। যে বিল নিয়ে এত বিতর্ক, এখনও তা মার্কিন সেনেটে পাশ হয়নি। বিল আটকাতে মাস্ক যদি ডেমোক্র্যাটদের দিকে ঝোঁকেন, তা হলে ফল ভাল হবে না, হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। মাস্কের সংস্থার সঙ্গে সরকারি চুক্তি বাতিলের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, বিল নিয়ে মতানৈক্যের পর ট্রাম্প প্রশাসন থেকে ইস্তফা দেন মাস্ক। যে বিলকে ট্রাম্প ‘বড় ও সুন্দর’ বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন, প্রকাশ্যে তার সমালোচনা শুরু করেন। এক সময়ের মধুর সম্পর্ক তিক্ততার রূপ নেয়। ট্রাম্পকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতেও ছাড়েননি মাস্ক। আমেরিকায় তিনি নতুন দল চালু করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। মাস্ক জানান, ইমপিচমেন্ট পদ্ধতিতে ট্রাম্পের অপসারণ প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসাবে তিনি ভান্সের প্রতি সমর্থনের কথা জানান। সেই ভান্সই উড়িয়ে দিয়েছেন মাস্কের দাবি। বলেছেন, ‘‘এগুলো পাগলামি। আমাদের প্রেসিডেন্ট খুব ভাল কাজ করছেন।’’ ট্রাম্প প্রশাসনে থাকাকালীন মাস্কের জন্য আলাদা দফতর গঠন করা হয়েছিল। সেই সরকারি দক্ষতা বিষয়ক দফতরের (ডিওজিই) কাজের প্রশংসাও করেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট।