ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ইলন মাস্ক। বৃহস্পতিবারই তিনি জানিয়েছেন, তাঁর সময় শেষ হয়েছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর শুধু মাস্কের জন্যেই একটি আলাদা দফতর গড়ে দিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেই সরকারি দক্ষতা বিষয়ক দফতরের (ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি বা ডিওজিই) এ বার কী হবে? কে চালাবেন ওই দফতর? কৌতূহল তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবারই (আমেরিকার সময়) তার উত্তর দিয়েছে হোয়াইট হাউস।
ডিওজিই-এর মূল কাজ ছিল প্রশাসনের ‘অপ্রয়োজনীয় ব্যয়’ কাটছাঁট এবং অর্থনৈতিক সাশ্রয়। হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লিভিট জানিয়েছেন, ডিওজিই-এর মাধ্যমে মাস্ক যে কাজ শুরু করেছিলেন, আগামী দিনে ট্রাম্প এবং তাঁর ক্যাবিনেটের প্রত্যেক সদস্য সেই কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবেন। ডিওজিই-এর সদস্যেরা সকলকেই পাশে পাবেন। ট্রাম্প নিজেও সরকার পরিচালনার বাড়তি খরচ কমাতে বদ্ধপরিকর, জানিয়েছেন ক্যারোলিন।
আরও পড়ুন:
বিদায়ের ঘোষণার পর হোয়াইট হাউসে মাস্কের শেষ দিন হতে চলেছে শুক্রবার। ট্রাম্প শেষ দিনে তাঁকে পাশে নিয়ে একটি সাংবাদিক বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন। ঢালাও প্রশংসা করেছেন মাস্কের। সমাজমাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘‘ওভাল অফিসে ইলন মাস্ককে সঙ্গে নিয়ে আমি একটি সাংবাদিক বৈঠক করব শুক্রবার ১.৩০ নাগাদ (ভারতীয় সময় অনুযায়ী শুক্রবার রাত ১১টা)। এটাই ওঁর শেষ দিন। তবে ইলন সবসময় আমাদের সঙ্গে ছিল, আছে, থাকবে। ইলন দুর্দান্ত।’’
হোয়াইট হাউস থেকে মাস্কের আচমকা ইস্তফা নিয়ে নানা জল্পনা দানা বেঁধেছে। মাস্ক নিজে অবশ্য মুখ খোলেননি। কেউ কেউ বলছেন, তিনি নিজের ব্যবসায় মনযোগী হতে চান। টেসলা, স্পেসএক্সের কাজ দেখতে চান। তাই সরে দাঁড়াচ্ছেন। তবে অনেকেরই দাবি, ট্রাম্পের সঙ্গে বেশ কিছু বিষয়ে মতানৈক্য মাস্কের ইস্তফার কারণ। সম্প্রতি জলকল্যাণমূলক একটি বিলে স্বাক্ষর করেছেন ট্রাম্প। তা নিয়ে প্রকাশ্যেই মাস্ক আপত্তি জানিয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, এত দিন ডিওজিই-র সদস্যেরা যে পরিশ্রম করে এসেছেন, এই বিলের কারণে সেগুলি বৃথা হয়ে যাবে। কারণ, এই বিলের বাস্তবায়ন খরচসাপেক্ষ। ট্রাম্প যে বিলকে ‘বড়’ এবং ‘সুন্দর’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন, মাস্ক তার সম্বন্ধে বলেছেন, ‘‘একটা বিল একইসঙ্গে বড় এবং সুন্দর হতে পারে না। হয় তা বড় হয়, নয়তো সুন্দর হয়।’’ এর পরেই ইস্তফার ঘোষণা করেন মার্কিন ধনকুবের।