Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ট্রাম্প টাওয়ারে আড়িপাতার অভিযোগ ভিত্তিহীন, মানলেন দুই কর্তা

প্রেসি়ডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিযোগের কোনও যুক্তি নেই। ওবামা প্রশাসনের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের অভিযোগ প্রসঙ্গে আজ এ কথাই মেনে নিলেন দেশের দুই নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান। মার্কিন সেনেটের এক কমিটির সামনে সোমবার এফবিআইয়ের ডিরেক্টর জেমস কোমি এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক রজার্স স্বীকার করে নেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দাবির সপক্ষে কোনও প্রমাণ তাঁদের হাতে নেই।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৭ ০৪:১৬
Share: Save:

প্রেসি়ডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিযোগের কোনও যুক্তি নেই। ওবামা প্রশাসনের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের অভিযোগ প্রসঙ্গে আজ এ কথাই মেনে নিলেন দেশের দুই নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান। মার্কিন সেনেটের এক কমিটির সামনে সোমবার এফবিআইয়ের ডিরেক্টর জেমস কোমি এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক রজার্স স্বীকার করে নেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দাবির সপক্ষে কোনও প্রমাণ তাঁদের হাতে নেই। সেনেট কমিটিকে কোমি আরও জানান, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে এফবিআই। পুতিন প্রশাসনের সঙ্গে ট্রাম্প শিবিরের যোগাযোগ ছিল কি না, তা-ও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ফলে দু’দিক থেকেই প্যাঁচে আমেরিকার ৪৫তম প্রেসিডেন্ট।

এ বারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছিল ডেমোক্র্যাট শিবির। প্রচারের সময়ে ট্রাম্পের ভূয়সী পুতিন-প্রশংসা সেই আগুনে আরও ঘি ঢালে। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই রুশ হস্তক্ষেপের ভূত তাড়া করে বেড়াচ্ছে ট্রাম্পকে। রাশিয়ার সঙ্গে ব্যক্তিগত যোগাযোগ নিয়ে বিতর্কের জেরে পদ খুইয়েছেন ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন। কিন্তু শত বিতর্কের পরেও ট্রাম্পকে থামানো যায়নি।

৪ মার্চ ফের এক বিতর্ক-বোমা ফাটান নতুন প্রেসিডেন্ট। এক গুচ্ছ টুইটে দাবি করেন, নির্বাচনের আগে নিউ ইয়র্কে তাঁর বাসভবন ও দফতর ট্রাম্প টাওয়ারের ফোনে আড়ি পাতার নির্দেশ দেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। সত্তরের দশকে নিক্সন জমানার ওয়াটারগেট-কেলেঙ্কারির সঙ্গেও এর তুলনা করেন ট্রাম্প। কিন্তু তাঁর অভিযোগের সপক্ষে কোনও তথ্য-প্রমাণ দেননি প্রেসিডেন্ট। ফলে শুধু ডেমোক্র্যাটরাই নন, রিপাবলিকান সেনেটররাও ট্রাম্পের এই মন্তব্যের সমালোচনা শুরু করেন। তাঁর অভিযোগের সপক্ষে যুক্তি দেওয়ার জন্য চাপ বাড়তে থাকে প্রেসিডেন্টের উপরে। তবু মুখ খোলেননি ট্রাম্প।

এই অভিযোগ প্রসঙ্গে ট্রাম্প-প্রশাসনের কাছে তথ্যপ্রমাণ চেয়ে গত সপ্তাহে সেনেট কমিটি বিচারবিভাগীয় দফতরের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিল। গত শুক্রবার সেই সব নথি সেনেট কমিটির কাছে জমা পড়ে। তারপরেই ডেকে পাঠানো হয় এফবিআই কর্তা ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে। তখনই বেশ বোঝা যাচ্ছিল, ট্রাম্পের স্বপক্ষে যুক্তি দেওয়া কোমি বা রজার্স— দু’জনের পক্ষেই মুশকিলের হবে। আজ ঠিক সেটাই হলো।

আজ সেনেট কমিটির সামনে এফবিআই কর্তা স্পষ্ট বলেন, ‘‘ওই সব টুইটের সপক্ষে কোনও প্রমাণ আমার হাতে নেই!’’ তার পর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রজার্সকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা প্রেসিডেন্ট ওবামাকে ট্রাম্প টাওয়ারে আড়ি পাততে সাহায্য করেছিল, ট্রাম্পের এই অভিযোগ সম্বন্ধে তাঁর কী মত? ‘‘হাস্যকর ও ভিত্তিহীন’’— বলেন রজার্স। কয়েক দিন আগেই টেরেসা মে-র প্রশাসনের তরফ থেকে সরকারি ভাবে ট্রাম্পের এই অভিযোগের সমালোচনা করা হয়েছে। ব্রিটেনের দাবিই ঠিক, আজ মেনে নিয়েছেন মার্কিন জাতীয় উপদেষ্টা। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এফবিআই প্রধানকে। কোমি জানান, এ নিয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে এফবিআই। মেনে নেন, ডেমোক্র্যাট শিবিরের ই-মেল যদি সত্যিই হ্যাক করা হয়ে থাকে, সেটি দেশের বিরুদ্ধে অপরাধ বলে গণ্য করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Donald Trump Trump Tower White House
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE