— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
আবারও হানা দিতে পারে নতুন অতিমারি। যার নাম ‘ডিজিজ় এক্স’। কোভিডের থেকে ২০ গুণ ভয়ঙ্কর হতে পারে সেই রোগ। হুঁশিয়ারি দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু। বিশ্বের সব দেশকে প্রস্তত থাকতে বলা হয়েছে। শনিবার হু-এর ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস এই অতিমারি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সকল দেশকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি চুক্তি সই করার আর্জি জানিয়েছেন।
ডাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে ভবিষ্যতের অতিমারি নিয়ে সতর্ক করেন টেড্রস। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী মে মাসের মধ্যে সকল দেশ সহমত হয়ে এই আসন্ন অতিমারি মোকাবিলার জন্য একটি চুক্তিতে সই করতে পারবে। টেডরোস বলেন, ‘‘অনেক কিছুই ঘটতে পারে, যে বিষয়ে মানুষ কিছুই জানে না। এ রকমই কিছু রোগও আসবে বলে আমাদের আগে থেকেই ভেবে রাখতে হবে।’’ এখানেই থামেননি তিনি। আরও বলেন, ‘‘কোভিড অতিমারির সময় অনেককে হারিয়েছিলাম। কারণ তাঁদের রাখার ব্যবস্থা করতে পারিনি। তাঁদের বাঁচানো যেত, কিন্তু (হাসপাতালে) জায়গা ছিল না। যথেষ্ট অক্সিজেন ছিল না। প্রয়োজন পড়লে ব্যবস্থাপনা বৃদ্ধির করতে হবে।’’
টেড্রস জানিয়েছেন, পরবর্তী কালে অতিমারি আসতে পারে ভেবে দক্ষিণ আফ্রিকায় ইতিমধ্যে ব্যবস্থা করা হয়েছে। অতিমারির জন্য তহবিলও তৈরি করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, অনেক ধনী দেশ প্রচুর টিকা নিজেদের কাছে রেখে দিয়েছিল। গরিব দেশের মানুষ পায়নি। সেই বৈষম্য যাতে না হয়, যাতে স্থানীয় স্তরে টিকা আরও বেশি করে তৈরি করে বিলি করা যায়, সে কারণে দক্ষিণ আফ্রিকায় এমআরএনএ হাবও তৈরি করা হয়েছে।
এই ‘ডিজিজ় এক্স’ কী? এটা আসলে কোনও নির্দিষ্ট রোগ নয়। বরং সম্ভাব্য এক ভাইরসারে নাম, যা কোভিড-১৯-এরই মতো। এটা একটা নতুন ভাইরাস বা নতুন ব্যাকটিরিয়া বা নতুন ফাঙ্গাসও হতে পারে। এর চিকিৎসা নিয়ে এখনও কোনও ধারণা নেই বিজ্ঞানীদের। ২০২২ সালের নভেম্বরে এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট দিয়েছিল হু। সেখানেই এই নতুন অতিমারি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল। জানিয়েছিল, পৃথিবী জুড়ে দাপিয়ে বেড়াতে পারে এই নতুন মহামারি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy