হংকংয়ে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ এবং মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতার কণ্ঠরোধে চিনের নিন্দা করে সর্বসম্মত প্রস্তাব পাশ করল আমেরিকার হাউস অব রিপ্রেজ়েন্টেটিভস। বুধবার ধ্বনিভোটে ওই প্রস্তাব পাশ হওয়ার পরে ভারতীয় সময় অনুযায়ী আজ ভোরে হাউসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি টুইট করে বলেন, ‘‘এই প্রস্তাবের মধ্য দিয়ে চিন কর্তৃক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বন্ধের জন্য কড়া বার্তা দেওয়া হচ্ছে।’’
পেলোসি আরও বলেন, হংকংয়ে আইনের শাসন এবং তিব্বতে ধর্ম ও সংস্কৃতির অধিকার ফেরানোর লক্ষ্যে হাউস সব সময় লড়বে। পাশ হওয়া প্রস্তাবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট, বিদেশসচিব এবং কোষাগার সচিবকে অনুরোধ করা হয়েছে, তাঁরা যেন মিত্ররাষ্ট্রগুলির সঙ্গে কথা বলে হংকংয়ের ব্যাপারে উপযুক্ত পদক্ষেপ করেন। রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে হংকংয়ের জন্য বিশেষ এনভয় নিয়োগের ব্যবস্থা করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। হংকংয়ে নিপীড়িত অধিবাসীরা যাতে প্রয়োজনে অন্য দেশে চলে যেতে পারেন, সেই পথ সুগম করার প্রস্তাবও রয়েছে।
সম্প্রতি হংকংয়ে চলতি গণআন্দোলনের আবহে চিনের পার্লামেন্ট প্রস্তাব পাশ করে হংকং সরকারকে বিশেষ ক্ষমতা দিয়ে বলেছে, তারা চাইলে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে আইনসভা থেকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সদস্যপদ বাতিল করতে পারে। এ জন্য আদালতে যাওয়ারও দরকার হবে না। সেই মতো গত সপ্তাহেই হংকং চার জন জনপ্রতিনিধির সদস্যপদ বাতিল করেছে। বুধবারই আমেরিকা, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং নিউজিল্যান্ডের বিদেশমন্ত্রীরা একযোগে এর বিরোধিতা করে বিবৃতি দেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, চিন নাগাড়ে হংকংয়ের সমস্ত বিরোধী স্বরকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে এবং চিন-ব্রিটিশ চুক্তি অনুযায়ী হংকংয়ের যতখানি স্বশাসন পাওয়ার কথা, তার থেকে তাকে বঞ্চিত করে চলেছে। এরই পাশাপাশি পাশ হল আমেরিকার হাউসের প্রস্তাব। দৃশ্যতই সেখানে চিনের গা-জোয়ারির বিরুদ্ধে সক্রিয়তর ভূমিকা নেওয়ার আহ্বানই জানানো হয়েছে।