Advertisement
E-Paper

আইএসে যেতে চেয়েছিল জাগবা

লন্ডন ব্রিজে হামলাকারী তিন আততায়ীর মধ্যে দু’জনের পরিচয় জানা গিয়েছিল আগেই। এ বার তৃতীয় জনের নাম প্রকাশ করেছে লন্ডন পুলিশ। ইউসুফ জাগবা নামে ওই ব্যক্তি জন্মসূত্রে মরক্কোর বাসিন্দা হলেও আদতে ইতালির নাগরিক।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০১৭ ০২:১০
নিহতদের স্মরণে।ছবি: রয়টার্স।

নিহতদের স্মরণে।ছবি: রয়টার্স।

লন্ডন ব্রিজে হামলাকারী তিন আততায়ীর মধ্যে দু’জনের পরিচয় জানা গিয়েছিল আগেই। এ বার তৃতীয় জনের নাম প্রকাশ করেছে লন্ডন পুলিশ। ইউসুফ জাগবা নামে ওই ব্যক্তি জন্মসূত্রে মরক্কোর বাসিন্দা হলেও আদতে ইতালির নাগরিক।

কট্টরপন্থী কার্যকলাপের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সন্দেহভাজনের তালিকায় জাগবার নাম ছিল। বেশ কিছু দিন ধরে লন্ডনে থাকত সে। সেখানের এক রেস্তোরাঁয় কাজ করত। ২০১৬-র মার্চে জাগবা ইতালি থেকে সিরিয়া যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। সে বার ইতালির বোলোনিয়া বিমানবন্দরে পুলিশের জেরার মুখে পড়ে ফিরতে হয় তাকে। উত্তেজিত জাগবা তখন নিরাপত্তাকর্মীদের পাল্টা হুমকি দিয়েছিল— ‘‘আমি সন্ত্রাসবাদী হয়েই দেখাব।’’ এই ঘটনার পরে জাগবার পাসপোর্ট ও ফোন বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। সেই ফোন ঘেঁটেই পুলিশ জানতে পারে, আইএসে যোগ দিতেই সিরিয়া যেতে চেয়েছিল সে।

বাকি দুই হামলাকারী সম্পর্কেও এ দিন আরও তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত খুরম শাজাদ বাট (২৭) যে শনিবারের জোড়া হামলার মূল চক্রী তা আগেই জানিয়েছিল পুলিশ। আইএস-এর হয়ে সম্ভবত শাজাদই এই হামলার ছক কষেছিল। ছোটবেলাতেই পাকিস্তান ছেড়ে বাবা-মা’র সঙ্গে ব্রিটেনে চলে আসে সে। বার্কিংয়ে একটি ফ্ল্যাটে স্ত্রীর সঙ্গে থাকত।

একই এলাকায় থাকত দ্বিতীয় হামলাকারী র‌্যাচিড রেদুয়ান। মরোক্কো থেকে আসা রেদুয়ান এলাকায় র‌্যাচিড এলখদার নামে পরিচিত ছিল। পেস্ট্রি শেফ রেদুয়ানের অবশ্য বাকি দু’জনের মতো জঙ্গিযোগ পাওয়া যায়নি। ২০০৯ থেকে ব্রিটেনে থাকতে শুরু করে রেদুয়ান। ২০১২ সালে আয়ারল্যান্ডের এক মহিলাকে বিয়ে করে সে-দেশের নাগরিকত্ব পায়। পরে আয়ারল্যান্ডের পাসপোর্ট নিয়েই ব্রিটেনে ঢোকে সে। কট্টর ইসলামি মনোভাবের কারণে পরে স্ত্রীর সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। হামলার পর রেদুয়ানের স্ত্রীকে আটক করে জেরা করা হয়। পরে তাঁকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। অনেক তথ্য পুলিশের হাতে থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে জাগবার মতো লোকেরা ব্রিটেনে অবাধ প্রবেশের অনুমতি পেল তা নিয়ে বুধবার সংবাদ মাধ্যমের এক অনুষ্ঠানে সংশয় প্রকাশ করেছেন ব্রিটেনের প্রশাসনিক সচিব দামিয়ান গ্রিন। গত কয়েক মাসে লন্ডনে বার বার জঙ্গি হামলার ঘটনায় দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েই প্রশ্ন তুলছে দেশবাসীর একাংশ।

Youssef Zaghba London Bridge Attack লন্ডন
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy