এভারেস্ট অভিযানে গিয়ে তুষার ধসে মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন নর্থ বেঙ্গল এক্সপ্লোরার্স ক্লাবের সদস্যরা। শনিবার শিলিগুড়িতে তোলা নিজস্ব চিত্র।
তুষার ধসে ওলোট পালোট হয়ে গিয়েছিল অভিযাত্রীদের দলটি। যার মধ্যে বেশির ভাগই নেপালের শেরপা। শুক্রবার এভারেস্ট বেসক্যাম্প থেকে এগিয়ে খুম্বু আইসফলে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় উদ্ধার হয়েছিল ১৩ জনের মৃতদেহ। নিখোঁজ ছিলেন আরও অনেকে। স্বাভাবিক ভাবেই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। উদ্ধার কার্যে প্রশাসনের তৎপরতা তুঙ্গে, কিন্তু বাদ সাধছে প্রতিকূল আবহাওয়া।
উদ্ধারকারী দল সূত্রের খবর, অনেক দেহই ক্রিভাসে (তুষার ফাটল) আটকে রয়েছে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু সেখানে পৌঁছনো অসম্ভব। শনিবার সারা দিনে মাত্র এক জন শেরপার দেহই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানাল নেপালের অন্যতম পর্বতারোহণ সংস্থা লোবেন এক্সপিডিশনস্। তবে নিখোঁজ পর্বতারোহীদের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি নেপাল সরকার।
পশ্চিমবঙ্গ থেকে যাওয়া এভারেস্ট অভিযাত্রীদের মধ্যে সুনীতা হাজরা এভারেস্ট বেসক্যাম্প থেকে টেলিফোনে এ দিন জানালেন, “নিখোঁজদের সংখ্যাটা খুব কম করে ৩০ জন হবেই। কারণ আমাদের আগে যে দলগুলো বেসক্যাম্প ছেড়ে বেরিয়েছিল, অন্তত পঞ্চাশ জন শেরপা ছিল তাঁদের সঙ্গে।” সে দিন আবহাওয়া ভাল ছিল, ফলে শেরপারা সকলেই ক্যাম্প ওয়ানের রুট ওপেন করতে বেরিয়ে যান বলেই জানালেন সুনীতা। এখন বেসক্যাম্পেই আছেন সুনীতারা। খুম্বু থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করার পর বেসক্যাম্পে এনেই রাখা হচ্ছে। ফলে মানসিক ভাবে যে প্রচণ্ড আতঙ্ক ও চাপের মধ্যে রয়েছেন তাঁরা, তা বলাই বাহুল্য। তবে এখনও হাল ছাড়েননি কেউ। অপেক্ষা শুধু ভাল আবহাওয়ার।
নিরবচ্ছিন্ন তুষারপাত আর ঠান্ডা হাওয়ার মধ্যেই আজ দিনভর খোঁজ চালিয়ে গিয়েছে উদ্ধারকারী দল। আবহাওয়ার প্রতিকূলতার পাশাপাশি ছিল সদ্য ঘটে যাওয়া ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার আতঙ্কও। জখম তিন জন শেরপাকে নেপালের হাসপাতালে ভর্তি করা সম্ভব হয়েছিল গত কালই। তাঁদের মধ্যেই এক জনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy