বয়স এখন ৯৩। কিন্তু অন্য অনেক প্রাক্তন নাত্সির মতো অতীতের পাপ পিছু ছাড়েনি অস্কার গ্রোয়েনিংয়েরও। মৃত্যুশিবির আউশভিত্সে ৩ লক্ষ মানুষকে খুনের দায়ে এপ্রিল মাসে বিচার শুরু হবে তাঁর।
১৯৪৪-৪৫ সালে আউশভিত্সে হিসাবরক্ষকের কাজ করতেন অস্কার। নাত্সি অধিকৃত পোল্যান্ড থেকে ওই শিবিরে আনা মূলত ইহুদি বন্দিদের মালপত্র থেকে পাওয়া টাকার হিসেব রাখতেন তিনি। পরে সেই টাকা বার্লিনে পাঠানো হতো। তখন অস্কারের বয়স কুড়ির কোঠায়। ওই প্রাক্তন নাত্সির বিরুদ্ধে জার্মান সরকারি কৌঁসুলিদের অভিযোগ, প্রায় ৩ লক্ষ বন্দির মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত তিনি।
আউশভিত্সে নিজের ভূমিকা গোপন করেননি অস্কার। জার্মান সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একাধিক সাক্ষাত্কারে তিনি বলেছেন, গ্যাস চেম্বার, বন্দিদের দেহ পোড়ানোর চুল্লি-সবই আমি দেখেছি। গ্যাস চেম্বারে নিয়ে যাওয়ার জন্য বন্দি বাছাইয়েরও আমি প্রত্যক্ষদর্শী।” এখন যে তাঁর মন অনুশোচনায় ভরে থাকে তাও জানিয়েছেন অস্কার। কিন্তু তিনি সরাসরি কাউকে খুন করেননি বলেও দাবি ওই প্রাক্তন নাত্সির।
সে কথা মেনে নিচ্ছেন জার্মান সরকারি কৌঁসুলিরাও। তাই অস্কারের বিরুদ্ধে বন্দিদের খুনের সঙ্গে পরোক্ষ ভাবে জড়িত থাকা ও প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে। আগে কেবল বন্দিহত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত প্রাক্তন নাত্সিদের বিচার হতো। কিন্তু ২০১১ সালে আদালতের নির্দেশের পরে পরোক্ষ ভাবে যুক্ত নাত্সিদেরও বিচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
গ্রোয়েনিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগকারীর তালিকায় রয়েছেন মৃত্যুশিবির থেকে ফেরা ৫৫ জন মানুষ বা তাঁদের পরিবারের সদস্য। এপ্রিল মাসে লুনেনবুর্গ শহরের আদালতে শুরু হবে এই বিচার। জার্মানির ইতিহাসে এক কলঙ্কময় অধ্যায়ের খাতা ফের খোলা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy