Advertisement
E-Paper

কোথায় গেলেন কিম জং উন, জল্পনা

তিন সপ্তাহ ধরে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি তাঁকে। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল, শরীর-গতিক মোটেও ভাল নেই উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের। বৃহস্পতিবারের পরে সে অনুমান বিশ্বাসেই পরিণত হল। কারণ নিজেরই ডাকা পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনে এ দিন আসেননি উন। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সোলের প্রশাসনের ধারণা, ‘চিজ-নেশায়’ আক্রান্ত উত্তর কোরিয়ার শাসকের শরীরের হাল বেশ খারাপ। এবং সে কারণেই এই অনুপস্থিতি।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:৩২

তিন সপ্তাহ ধরে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি তাঁকে। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল, শরীর-গতিক মোটেও ভাল নেই উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের। বৃহস্পতিবারের পরে সে অনুমান বিশ্বাসেই পরিণত হল। কারণ নিজেরই ডাকা পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনে এ দিন আসেননি উন। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সোলের প্রশাসনের ধারণা, ‘চিজ-নেশায়’ আক্রান্ত উত্তর কোরিয়ার শাসকের শরীরের হাল বেশ খারাপ। এবং সে কারণেই এই অনুপস্থিতি।

তবে সবই অনুমান। কারণ সরকারি ভাবে কিছুই জানায়নি উন-প্রশাসন। তবে কিম জং উনের বাবা উত্তর কোরিয়ার প্রাক্তন শাসক কিম জং ইল যে দামি ফরাসি ব্র্যান্ডি এবং সুস্বাদু রান্নার তীব্র ভক্ত ছিলেন সে কথা মোটামুটি গোটা বিশ্ব জানে। এবং অনেকেরই দাবি, যে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের জেরে ইলের হঠাৎ-মৃত্যু, তার উৎসও ব্র্যান্ডি এবং খাবারে তীব্র আসক্তি। সে কথা মাথায় রাখলে কিম জং উনের এই চিজ-আসক্তি অবিশ্বাস্য কিছু নয়। বিশেষত ২০১১ সালের ডিসেম্বরে ক্ষমতায় আসার পর চিজের উপর নির্ভরতা আরও বেড়ে যায় উনের। অনেকেরই ধারণা, ক্ষমতার চাপ কাটাতেই চিজ খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ফল? মারাত্মক ওজনবৃদ্ধি। কিছু দিন আগের এক ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, ঠিক ভাবে হাঁটতেও পারছেন না উত্তর কোরিয়ার এই বিতর্কিত প্রশাসক। অনেকেরই দাবি, মাত্রাতিরিক্ত মেদের জেরেই শরীরের এ হেন অবস্থা।

তবে একাংশের ধারণা, উনের শরীরে মেদের এই বাহুল্য ইচ্ছাকৃত। কারণ তাঁর ঠাকুর্দা কিম টু-সাং বেশ মোটাসোটা ছিলেন। হয়তো তা-ই ঠাকুর্দার মতো মোটাসোটা থাকতে চান তিনি। যাতে সাংয়ের সঙ্গে তাঁর মিল খুঁজে পান উত্তর কোরিয়াবাসী। লক্ষ্য একটাই। আনুগত্য বাড়ানো।

কারণ যা-ই হোক, উনের এই অনুপস্থিতি চিন্তা বাড়াচ্ছে শত্রু-মিত্র দু’পক্ষেরই। মিত্ররা ভাবছেন, উনের এই অনুপস্থিতি তাঁর প্রশাসনকে দুর্বল করে দেবে না তো? আর শত্রুদের চিন্তা, এত দিন আড়ালে থেকে কোন বিরোধীকে নৃশংস শাস্তি দেওয়ার ছক কষছেন তিনি? উত্তর নেই। অপেক্ষা শুধু কিম জং উনের।

সাংস্কৃতিক রাজধানী বামিয়ান

তালিবান হিংসার বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিতে সার্ক দেশগুলির সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করা হল বামিয়ানকে। আজ সার্ক দেশগুলির সংস্কৃতি মন্ত্রকের বৈঠকের এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। ১৩ বছর আগে এই বামিয়ানের ঐতিহ্যবাহী বুদ্ধমূর্তি ডিনামাইট দিয়ে ধ্বংস করে তালিবান। বর্তমানে আফগানিস্তানে শান্তি প্রক্রিয়া এবং রাজনৈতিক রূপান্তর পর্ব চললেও তালিবান ত্রাস অব্যাহত। চলতি বছরেই সেখান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের কথা। তার পর পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশ্ব। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মার্কিন সফরের প্রাক্কালে বামিয়ানকে সার্ক দেশগুলির সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে যখন এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা নিয়েছে ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, তালিবানদের বিরুদ্ধে এটি একটি ঐক্যবদ্ধ বার্তা।

Kim Jong-un
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy