ভিড় হটাতে পেপার স্প্রে ছুড়েছিল পুলিশ। তার ঝাঁঝে নাকে-চোখে জল এসে গিয়েছিল নিজের দফতরে অবরুদ্ধ বিএনপি-জামাতে ইসলামি জোটের নেত্রী খালেদা জিয়ার। সোমবার বেরোনোর জন্য গাড়িতে উঠেও হাঁচতে হাঁচতে ঘরে ঢুকে গিয়েছিলেন তিনি। পরে ডাক্তাররা দেখেও আসেন তাঁকে। খালেদা কেমন আছেন জানতে দিল্লি থেকে বুধবার রাতে টেলিফোন করেছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে সে খবর দেন খালেদার প্রেসসচিব। জানিয়েছেন, খবর নেওয়ার জন্য অমিতকে ধন্যবাদ দেন খালেদা।
খালেদা দফতরে অবরুদ্ধ থাকলেও তাঁর ডাকা অনির্দিষ্ট কাল অবরোধে বৃহস্পতিবারও বাংলাদেশের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়েছে। কিছু গাড়ি পুড়েছে। সংঘর্ষ ও আগুনে সারা দিনে মারা গিয়েছেন অন্তত তিন জন। তবে কাল থেকে টুঙ্গিতে কোটি মানুষের সমাবেশে বিশ্ব ইজতেমা শুরু হতে চললেও অবরোধ প্রত্যাহার করেননি খালেদা। আজ পুলিশ তাঁর দফতরের বাইরের গেটের তালা খুলে নিলেও রাস্তা বন্ধ করে রাখা গাড়ির সারি সরায়নি।
গত কাল হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ খালেদা-পুত্র তারেক রহমানের কোনও বক্তব্য সংবাদমাধ্যমে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। বলা হয়েছিল, শেখ হাসিনাকে খুনের মামলার প্রধান আসামি তারেক ফেরার হয়ে লন্ডন থেকে নানা কথা বলে জনজীবনে অশান্তি ছড়াচ্ছেন। তা প্রচার করলে শাস্তি পেতে হবে। আজ সেই বেঞ্চের এক বিচারপতির গ্রামের বাড়িতে দুষ্কৃতীরা আগুন লাগিয়ে দেয়। পুলিশের অভিযোগ, বিএনপি কর্মীরাই এই কাজ করেছেন। অন্য এক বিচারপতির ঢাকার বাড়ির সামনে বোমা ছোড়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মুখ ঢাকা দুই দুষ্কৃতী দু’টি বোমা ছুড়ে দিয়ে চলে যায়। পুলিশ তাদের তাড়া করে গুলিও করে। কিন্তু কেউ হতাহত হয়নি। বিএনপি-র হাতে ভাঙচুরের ভয়ে বাংলাদেশে সব দূরপাল্লার বাস বন্ধ। ট্রেন-লঞ্চ চললেও প্রচণ্ড ভিড়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy