অপহরণের পরে ঠিক এক মাস পার। এখনও কোনও খোঁজ নেই অপহৃত ছাত্রীদের।
বিশ্ব জুড়ে সমালোচনার মুখে আজ তাই বোকো হারাম জঙ্গিদের সঙ্গে তারা কথা বলতে আগ্রহী বলে জানাল নাইজেরিয়া প্রশাসন। সরকারের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী তামিনু তুরাকি বলেছেন, “জঙ্গিদের সঙ্গে কথা বলতে আমরা সবসময়েই আগ্রহী। ছাত্রীদের অপহরণ নিয়ে তো অবশ্যই আলোচনা প্রয়োজন।”
নাইজেরিয়ার উত্তরপূর্বে বোর্নো প্রদেশের গভর্নর কাশিম শেট্টিমা জানিয়েছেন, সম্প্রতি বোকো হারাম অপহৃত ছাত্রীদের যে ভিডিওটি দেখিয়েছে, সেটি আসল। ওই ছাত্রীরা বোর্নো প্রদেশের চিবকের বোর্ডিং স্কুলেরই। যেখান থেকে গত ১৪ এপ্রিল ২৭৬ জন ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। কাল অবশ্য প্রেসিডেন্ট গুডলাক জোনাথন বলেছিলেন, নিরাপত্তার কারণে বোর্নো-সহ অন্য যে তিনটি প্রদেশে এক বছর ধরে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে, তার মেয়াদ বাড়িয়ে আরও ছ’মাস করা হোক। এই বিষয়ে আজ আবুজার আইনপ্রণেতারা আলোচনায় বসছেন।
নাইজেরিয়ার লাগোসে এ দিন বৃষ্টি উপেক্ষা করে অপহৃত ছাত্রীদের মুক্তির জন্য পথে নামেন বহু মানুষ। উদ্বেগ জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জও। একটি বোর্ডিং স্কুল থেকে এত ছাত্রীকে এ ভাবে অপহরণ করায় আন্তর্জাতিক স্তরে কম সমালোচনা হয়নি। ছাত্রীদের উদ্ধারে নাইজেরীয় প্রশাসন যথেষ্ট সক্রিয় নয় এই অভিযোগে সরব হয়েছেন বাবা-মায়েরা। ক্ষোভের মুখে পড়েছেন দেশের প্রেসিডেন্ট গুডলাক জোনাথন। তাদের খোঁজে উত্তরপূর্ব নাইজেরিয়ার প্রত্যন্ত এলাকায় খোঁজ শুরু করেছে মার্কিন নজরদারি বিমান। এর আগেই নাইজেরিয়ার কয়েক হাজার সেনা ওই এলাকায় পৌঁছেছে। সাহায্যে এগিয়ে এসেছে আমেরিকা এবং ব্রিটেনও।
বোকো হারাম গত কাল কারাবন্দি জঙ্গিদের মুক্তির বিনিময়ে ছাত্রীদের ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছিল। দলের নেতা আবুবকর শেকাউ ২৭ মিনিটের একটি ভিডিও পোস্ট করে। দেখা যায়, ১৩০ জন মেয়েকে মুখ ঢাকা পোশাক পরিয়ে ধর্মগ্রন্থ পাঠ করানো হচ্ছে। এই ছাত্রীরা বেশির ভাগই খ্রিস্টান। যাদের ধর্মান্তরিত করে বোরখা পরিয়ে রাখা হয়েছে। ওই ভিডিওয় দু’জন ছাত্রীকে বলেছে, ‘আমাদের ধর্মান্তরিত করা হয়েছে।’ পরে আবুবকর বলছে, “আল্লার কসম, আমাদের বন্দি ভাইদের না ছাড়লে এদেরও
তোমরা আর দেখতে পাবে না।” ভিডিওয় এ কে ৪৭ হাতে দেখা যাচ্ছে আবুবকরকে।