Advertisement
E-Paper

জর্ডনের হানায় হত মার্কিন বন্দি, দাবি

জর্ডনের বিমানচালক মোয়াজ আল কাসাসবেকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার ক্ষোভে আইএসআইএস-এর বিরুদ্ধে ইরাক ও সিরিয়ায় বিমান হামলা শুরু করেছিল জর্ডন। আর আজ উত্তর সিরিয়ায় সেই হামলায় নিহত হলেন পণবন্দি এক মার্কিন নাগরিক। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে আইএসআইএস দাবি করেছে যে সিরিয়ার রাকা শহরে হামলা চালায় জর্ডনের একটি যুদ্ধবিমান।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৩:১৩
জর্ডনের বিমান হানায় বিধ্বস্ত সিরিয়ার রাকা শহর। শুক্রবার আইএস  জঙ্গিরা তাদের ওয়েবসাইটে এই ছবি প্রকাশ করেছে। ছবি: এএফপি।

জর্ডনের বিমান হানায় বিধ্বস্ত সিরিয়ার রাকা শহর। শুক্রবার আইএস জঙ্গিরা তাদের ওয়েবসাইটে এই ছবি প্রকাশ করেছে। ছবি: এএফপি।

জর্ডনের বিমানচালক মোয়াজ আল কাসাসবেকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার ক্ষোভে আইএসআইএস-এর বিরুদ্ধে ইরাক ও সিরিয়ায় বিমান হামলা শুরু করেছিল জর্ডন। আর আজ উত্তর সিরিয়ায় সেই হামলায় নিহত হলেন পণবন্দি এক মার্কিন নাগরিক। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে আইএসআইএস দাবি করেছে যে সিরিয়ার রাকা শহরে হামলা চালায় জর্ডনের একটি যুদ্ধবিমান। কিন্তু তাতে কোনও জঙ্গির মৃত্যু হয়নি। বরং সেই শহরেরই একটি বাড়িতে বন্দি অবস্থায় থাকা এক মার্কিন মহিলা নিহত হন। এই তথ্যটি আদৌ ঠিক কি না, সে বিষয়ে কিন্তু ধন্দ রয়ে গিয়েছে। তবে, খবরটি যে একেবারে খাঁটি তা প্রমাণ করার জন্য সেই মহিলার পরিচয়ও আইএসআইএস সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছে। তাঁর নাম কায়েলা জিন মুয়েলার। বাড়ি অ্যারিজোনায়।

২০১৩-র অগস্ট মাস থেকেই নিখোঁজ মুয়েলার। প্রেমিকের সঙ্গে সিরিয়ার অ্যালেপ্পো শহরে বেড়াতে গিয়েছিলেন। কিন্তু আর বাড়ি ফেরা হয়নি তাঁর। পরবর্তী সময়ে মুয়েলারের একটি ভিডিও আসে তাঁর বন্ধুদের হাতে। সেখানে দেখা যাচ্ছে নিজের প্রাণ ভিক্ষা করছেন মুয়েলার।

বিমানচালকের হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে আরও এক বিরল ঘটনার সাক্ষী হয়েছে মিশর। এই প্রথম জঙ্গিদের বর্বরতার নিন্দা করতে গিয়ে সুর মিলেছে মিশরের সরকার এবং মুসলিম ব্রাদারহুডের। কায়রোর আল আজার ইনস্টিটিউটের প্রধান আহমেদ আল-তায়েব বলেছেন, “ওই জঙ্গিদের হত্যা করা উচিত। ওদের ক্রুশবিদ্ধ করে হাত পা কেটে দেওয়া উচিত!” সিরিয়া, ইরান, কাতারের মতো দেশগুলিও এই হত্যাকাণ্ডের সমালোচনা করে আইএস-বিরোধিতায় গলা মিলিয়েছে। জর্ডনের গোয়েন্দা সংস্থার প্রক্তন প্রধান আদনান আবু-ওদের কথায়, “যে ভাবে ওই বিমানচালককে মারা হয়েছে, তাতে জর্ডনের পাশে দাঁড়িয়েছে তামাম বিশ্ব।” আইএস-এর বিরোধিতা করে মুখ খুলেছে হিজবুল্লা, আল কায়দার মতো কয়েকটি জঙ্গিগোষ্ঠী। তবে রণে ভঙ্গ দেয়নি আইএসআইএস। একটি সূত্রের খবর, সন্ত্রাসের মাত্রা বাড়াতে এ বার একটি ‘থিঙ্ক ট্যাঙ্ক’ গঠনের পরিকল্পনা করছে তারা। যাদের একমাত্র কাজ হবে, পণবন্দিদের হত্যায় বর্বরতা বাড়ানোর নতুন নতুন উপায় বের করা!

air strike jordon american hostage syria
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy