Advertisement
E-Paper

দুর্দশায় প্রজা, খোঁজ নিতে হাজির ওবামা

মন্দার বাজারে স্বামীর চাকরি গিয়েছে। নিজে একখানা ছোটখাটো চাকরি করেন। সেই টাকাতেই কোনও মতে সংসার চলে। কিন্তু স্বাচ্ছন্দ্য দূরে থাক, প্রয়োজনই মেটে না। দু-দু’টো বাচ্চার মুখে ভালমতো খাবারও তুলে দিতেন পারেন না। বাকি পড়ে বাড়ি ভাড়াও।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০১৪ ০২:০০
মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রেবেকা। মিনেসোটায়। ছবি: এএফপি।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রেবেকা। মিনেসোটায়। ছবি: এএফপি।

মন্দার বাজারে স্বামীর চাকরি গিয়েছে। নিজে একখানা ছোটখাটো চাকরি করেন। সেই টাকাতেই কোনও মতে সংসার চলে। কিন্তু স্বাচ্ছন্দ্য দূরে থাক, প্রয়োজনই মেটে না। দু-দু’টো বাচ্চার মুখে ভালমতো খাবারও তুলে দিতেন পারেন না। বাকি পড়ে বাড়ি ভাড়াও।

নিজের দুঃখের কথা প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে চিঠি লিখে জানান মিনিওপলিসের বাসিন্দা রেবেকা এরলার। কিন্তু এমনটা যে হতে পারে, স্বপ্নেও ভাবেননি তিনি। বৃহস্পতিবার সদলবলে রেবেকার কাছে হাজির

হন খোদ প্রেসিডেন্ট। দিনের বেশিরভাগটাই কাটালেন তাঁর সঙ্গে। রেবেকাকে নিয়ে এক রেস্তোরাঁয় মধ্যাহ্নভোজনটাও সারলেন তিনি। শুনলেন তাঁর সুখ-দুঃখের কথা। আশ্বাসও দিলেন, অবশ্যই কিছু একটা ব্যবস্থা করবেন।

রেবেকা একা নন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গড়ে অন্তত এমন দশটা চিঠি প্রতি দিন আসে হোয়াইট হাউসের ঠিকানায়। ওবামা কিছু দিন আগে একটি সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেন, অল্প মাইনের কাজ করেন যাঁরা, তাঁদের জীবনযাত্রা সহজ নয়। ওবামা বলেন, “ঘণ্টার হিসেবে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা যদি টানা তিন দিন ছুটি চান, তা হলে হয়তো চাকরিটাই খোয়াতে হবে।” রেবেকার মতো মায়েদের তো এমন ছুটি তো লাগতেই পারে। কিন্তু চাকরি গেলে খাবেন কী? এমন আরও নানা সমস্যার সমাধান খুঁজে না পেয়ে ওবামাকে চিঠি লেখেন তিনি। এর পরেই ওবামা মিনিওপলিস চলে আসেন। শুধু রেবেকাই নন, ঘুরে ঘুরে এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করেন। একটা আইসক্রিম পার্লারে গিয়ে আইসক্রিমও খান।

বিরোধীরা অবশ্য এই সব কিছুকেই রাজনৈতিক কৌশল বলে মনে করছেন।

প্রেসিডেন্ট কী বলছেন? তাঁর কথায়, “আমি যেন খাঁচাবন্দি পশু। মাঝেমধ্যেই অবশ্য সেই বাঁধন ছিঁড়ে বেরিয়ে পড়ি। আজও তেমনই একটা দিন।”

Obama Minnesota
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy