Advertisement
E-Paper

ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও পোক্ত করতে উদ্যোগী ঢাকা

ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য-সম্পর্ক আরও নিবিড় করতে উদ্যোগী হল বাংলাদেশ। এ জন্য এক দিকে যেমন দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বৃদ্ধির বিভিন্ন পথ চিহ্নিত করা হচ্ছে, তেমনই উন্নত করার চেষ্টা চলছে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির সঙ্গে যোগাযোগের রাস্তাও।

কুদ্দুস আফ্রাদ

শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৪ ০৩:৫২

ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য-সম্পর্ক আরও নিবিড় করতে উদ্যোগী হল বাংলাদেশ। এ জন্য এক দিকে যেমন দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বৃদ্ধির বিভিন্ন পথ চিহ্নিত করা হচ্ছে, তেমনই উন্নত করার চেষ্টা চলছে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির সঙ্গে যোগাযোগের রাস্তাও।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ জানান, দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সড়ক ও নৌপথে আমদানি-রফতানি কী ভাবে বাড়ানো যায়, সম্প্রতি তার উপায় চিহ্নিত করা হয়েছে। এ নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের নেতৃত্বে এক আন্তঃমন্ত্রক বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও বাণিজ্যমন্ত্রীর দাবি।

ওই বৈঠকে দু’দেশের সীমান্তে স্থল বন্দরগুলিতে কাস্টমস (শুল্ক) অফিস তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কথা হয়েছে বাংলাবান্দা, ফুলবাড়ি, বুড়িমারী ও নাকুগাঁ স্থল বন্দরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ উন্নত করার। একই সঙ্গে, আখাউড়া-আগরতলা রেল সংযোগ এবং গুয়াহাটি-বাংলাদেশ উড়ান চালুর কথাও আলোচিত হয়েছে ওই বৈঠকে। সিদ্ধান্ত হয়েছে এই সমস্ত প্রকল্পে পা বাড়ানোর।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশ-ভারত-মায়ানমার--চিনের মধ্যে সড়ক যোগাযোগের জন্য যে আঞ্চলিক জোট গড়া হয়েছে, তার মাধ্যমেই বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য পদক্ষেপ করবে ঢাকা। সেই হিসেবে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির সঙ্গে যোগাযোগের যে বেহাল দশা রয়েছে, তা দ্রুত শোধরাতে চায় বাংলাদেশ। উল্লেখ্য, বাণিজ্য ও অর্থমন্ত্রী ছাড়াও ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বিদেশমন্ত্রী মাহমুদ আলি, যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, রেলমন্ত্রী মজিবুল হক, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভি, ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার আহমেদ তারেক করিম প্রমুখ।

তোফায়েল আহমেদ স্পষ্ট জানান, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে দু’দেশের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ বাড়ানোর উপরই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বৈঠকে। তা ছাড়া, শুধু ভারত নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মুক্ত-বাণিজ্য চুক্তি করেও বাংলাদেশের রফতানি বাজার সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ট্রানজিট রুট না-পাওয়ার ফলে, ভারত যে তার উত্তর-পূর্বের সাত রাজ্যে পণ্য পরিবহণের জন্য মায়ানমারের সঙ্গে কালানদী ট্রানজিট রুট তৈরি করেছে, সে বিষয়টিও বৈঠকে তুলে ধরা হয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রীর মতে, করিডোর হোক বা ট্রানজিট, এ বিষয়ে বাংলাদেশকে স্থির সিদ্ধান্তে আসতে হবে।

kuddus afrad dhaka india bangladesh bilateral relationship
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy