Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

মাটি ধসে ইন্দোনেশিয়ায় মৃত ১৮

এক রাতের ব্যবধানে দু’দু’টো ধস। আর তার জেরে বিপর্যস্ত মধ্য ইন্দোনেশিয়ার জাভার একটা বড় অংশ। কাদা আর মাটির ধসের ফলে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে একটা আস্ত গ্রাম। মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। নিখোঁজ অন্তত ৯০ জন। গত বৃহস্পতিবারই মধ্য জাভার ওনোসোবো জেলায় ধসের জেরে মৃত্যু হয় এক জনের। তার রেশ কাটতে না কাটতে কাল মধ্য জাভারই বানজারনেগারা জেলার একটি দ্বীপে মাটির ধস নামে। কাদা আর মাটির তলায় চলে যায় গোটা জেমব্লাঙ্গ গ্রামটাই।

উদ্ধার করা হচ্ছে কাদায় চাপা পড়ে থাকা মৃতদেহ। শনিবার। ছবি:এ পি।

উদ্ধার করা হচ্ছে কাদায় চাপা পড়ে থাকা মৃতদেহ। শনিবার। ছবি:এ পি।

সংবাদ সংস্থা
জাকার্তা শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:১০
Share: Save:

এক রাতের ব্যবধানে দু’দু’টো ধস। আর তার জেরে বিপর্যস্ত মধ্য ইন্দোনেশিয়ার জাভার একটা বড় অংশ। কাদা আর মাটির ধসের ফলে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে একটা আস্ত গ্রাম। মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। নিখোঁজ অন্তত ৯০ জন।

গত বৃহস্পতিবারই মধ্য জাভার ওনোসোবো জেলায় ধসের জেরে মৃত্যু হয় এক জনের। তার রেশ কাটতে না কাটতে কাল মধ্য জাভারই বানজারনেগারা জেলার একটি দ্বীপে মাটির ধস নামে। কাদা আর মাটির তলায় চলে যায় গোটা জেমব্লাঙ্গ গ্রামটাই। পুলিশ জানাচ্ছে, কালকের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। নিখোঁজ অন্তত ৯০ জন গ্রামবাসী। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। ধসের খবর পাওয়ার পর পরই উদ্ধার কাজে ছুটে যায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। কিন্তু উদ্ধারকারীরা জানাচ্ছেন, গোটা প্রক্রিয়াটায় বাদ সেধেছে প্রকৃতি। কাল রাত থেকেই জাভার নানা এলাকায় শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টি। যার জেরেই মাটিতে ধস নেমেছিল। আর সেই বৃষ্টিই উদ্ধারকাজে ভীষণ ভাবে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

উদ্ধারকারী দলটি জানিয়েছে, মাটির তলায় ঘর-বাড়ি সমেত চাপা পড়ে রয়েছেন বহু গ্রামবাসী। ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গিয়েছে ১০৫টি বাড়ি। প্রশাসনের তাই আশঙ্কা, উদ্ধারকাজে যত দেরি হবে, নিখোঁজদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনাও ততটাই কমে যাবে। “মাটি মাখা একের পর এক মৃতদেহ উঠছে। দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই আমাদের,” বললেন এক গ্রামবাসী। সেনা, পুলিশ আর জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলার সঙ্গে উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছেন সাধারণ মানুষও। মাটি তোলার পর্যাপ্ত যন্ত্র না থাকাটাও উদ্ধার কাজ ব্যাহত হওয়ার আর একটি অন্যতম কারণ বলে স্বীকার করেছেন সুতোপো পুরও নুগরোহো, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মুখপাত্র। পুলিশ জানিয়েছে, শুধু মাত্র হাত আর বেলচার সাহায্যে মাটি খুঁড়ে এগারো জনকে আজ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এঁদের প্রত্যেককেই স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে চার জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আটকে পড়া গ্রামবাসীদের পরিবারের লোকজন জানাচ্ছেন, তাঁরা মাটির তলা থেকে স্বজনদের চিৎকার শুনতে পাচ্ছেন। কিন্তু যন্ত্র না থাকায়, কাউকেই ওই ধ্বংসস্তূপ থেকে বার করা যাচ্ছে না। তবে পুলিশ জানিয়েছে, পরে ট্রাক্টর আর বুলডোজার এনে উদ্ধারে গতি বাড়ানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

ঠিক কী হয়েছিল কাল? জেমব্লাঙ্গ গ্রামের বাসিন্দা ওয়োহোনো বললেন, “হঠাৎই একটা জোরালো আওয়াজ শুনলাম। তার পরই দেখলাম বৃষ্টি আর লাল মাটির স্রোত গোটা গ্রামটাকে ঢেকে ফেলেছে। আমরা যে দিকে পেরেছি, দৌড়েছি। কিন্তু অনেকেই তা পারেননি। তাঁরা কাদা-মাটির স্রোতে আটকে পড়েছেন।”

বড়দিনে কোপ

সংবাদ সংস্থা • ফ্রিটাউন

ক্যালেন্ডারের পাতায় বড়দিন আসবে। বড়দিনের পর বর্ষশেষ। ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টার পর থেকে খাতায় কলমে ২০১৫-ও শুরু হয়ে যাবে। কিন্তু সান্টার সঙ্গে হইচই হবে না। বর্ষবরণের মুহূর্তে জৌলুসও থাকবে না। কারণ, ইবোলা ঠেকাতে এ বার সিয়েরা লিওন প্রশাসন নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে। যার জেরে বড়দিন বা বর্ষবরণ কোনও উৎসবই করা যাবে না।শুক্রবার দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেছেন, “বর্ষবরণ বা বড়দিন উপলক্ষে এ বার কোনও উৎসব করা যাবে না। আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যাতে প্রত্যেকেই বাড়ি থেকে না বেরোন।” আর এই নির্দেশিকা ঠিকঠাক পালন করা হল কি না, তা দেখতে রাস্তায় সেনাবাহিনীও থাকবে বলে জানান মন্ত্রী। ফলে ফ্রিটাউনে যাঁরা কাজ করেন, উৎসবের মরসুমে তাঁরা কেউই বাড়ি ফিরতে পারবেন না। ইবোলা ভাইরাসটি দেহ রসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তাই একের থেকে অন্যের দেহে সেটির যাতায়াত খুবই সহজ। তা ঠেকাতে সিয়েরা লিওন, লাইবেরিয়া, গিনিতে বন্ধ স্কুল। ফলে প্রায় ৫০ লক্ষ পড়ুয়ার ক্ষতি হচ্ছে। কিন্তু নিরুপায় প্রশাসন। ফুটবল খেলাতেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। আর, সেই ‘না’-এর তালিকায় এ বার যুক্ত হল উৎসবও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Jakarta 18 dead landslide
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE