Advertisement
E-Paper

সন্ত্রাসের আঁধার কাটিয়ে আলোর ভোর সিডনিতে

সাড়ে ষোলো ঘণ্টার বিষণ্ণ, রুদ্ধশ্বাস প্রতীক্ষা! বেশ কিছু হ্যান্ড গ্রেনেড, প্রভূত গুলি, বিস্ফোরক এবং তাজা তিনটি প্রাণ হারিয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রথম যুদ্ধ জিতল অস্ট্রেলিয়া। জনজীবনে আঁধার কেটে দিনের আলো না ফুটুক, অন্তত ভোর কিছুটা স্পষ্ট হল। সিডনি ডাউনটাউনের অভিজাত এলাকা মার্টিন প্লেসে অবস্থিত যে লিন্ড চকোলেট কাফের দখল নিয়ে এক উগ্রপন্থী গোটা পৃথিবীতে ত্রাস ফেলে দিয়েছিল, তাকে রুখতে অস্ট্রেলীয় সশস্ত্র পুলিশ কাফেতে ঢুকল রাত দু’টোয়। এর আগে জঙ্গিটির সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করেও তা ভেস্তে যায়।

গৌতম ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:৩২
লিন্ড কাফে থেকে এক পণবন্দিকে বার করে আনছে পুলিশ। ছবি: এপি

লিন্ড কাফে থেকে এক পণবন্দিকে বার করে আনছে পুলিশ। ছবি: এপি

সাড়ে ষোলো ঘণ্টার বিষণ্ণ, রুদ্ধশ্বাস প্রতীক্ষা! বেশ কিছু হ্যান্ড গ্রেনেড, প্রভূত গুলি, বিস্ফোরক এবং তাজা তিনটি প্রাণ হারিয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রথম যুদ্ধ জিতল অস্ট্রেলিয়া। জনজীবনে আঁধার কেটে দিনের আলো না ফুটুক, অন্তত ভোর কিছুটা স্পষ্ট হল।

সিডনি ডাউনটাউনের অভিজাত এলাকা মার্টিন প্লেসে অবস্থিত যে লিন্ড চকোলেট কাফের দখল নিয়ে এক উগ্রপন্থী গোটা পৃথিবীতে ত্রাস ফেলে দিয়েছিল, তাকে রুখতে অস্ট্রেলীয় সশস্ত্র পুলিশ কাফেতে ঢুকল রাত দু’টোয়। এর আগে জঙ্গিটির সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করেও তা ভেস্তে যায়।

কাফে থেকে ৫০ মিটার দূরে দড়ির ও-পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাংবাদিকরা হঠাৎই প্রচণ্ড বিস্ফোরণের আওয়াজ পেলেন। সঙ্গে ঝনঝন করে কাচ ভাঙার আওয়াজ। আওয়াজ ক্রমশ বাড়ছিল বোমার, গুলির এবং হঠাৎ আর্তনাদেরও। অপারেশন শেষ হতে অস্ট্রেলিয়ার চ্যানেলে বলা হল, মোট ২১ জন ভিতরে আটকে ছিলেন। ১৩ জন নন। এরই মধ্যে আহতদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। এক জনের আঘাত গুরুতর। পুলিশ অপারেশনে মারা গিয়েছে বন্দুকধারী জঙ্গি। মারা গিয়েছেন পণবন্দি দু’জনও, যাঁদের পরিচয় পুলিশ এখনও জানায়নি। শোনা যাচ্ছে, এক ঘণ্টা পরে সাংবাদিক সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে। কাফের পাশ থেকে এখনও কুণ্ডলী পাকিয়ে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। কিন্তু কাফের ভিতরে ঠিক কি ঘটছিল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি।

এক ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী কাফেতে আটকে ছিলেন। বিশ্বকান্ত অঙ্কিতরেড্ডি নামে ওই যুবকের সুস্থ এবং নিরাপদ থাকার কথা জানিয়েছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। পাশাপাশি ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ টুইট করে জানিয়েছেন, পুষ্পেন্দু ঘোষ নামে হাওড়ার এক বাঙালি তথ্য প্রযুক্তি পেশাদার কাফেতে আটকে ছিলেন। তাঁকেও উদ্ধার করেছে পুলিশ।


গুলি-যুদ্ধ শেষ। লিন্ড কাফে থেকে পণবন্দিদের বাইরে আনছে পুলিশ। ডান দিকে ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী বিশ্বকান্ত। ছবি: এপি

অথচ এই লিন্ড কাফের মাত্র ১০০ মিটারের মধ্যেই সাজানো আছে আলো ঝলমলে ক্রিসমাস ট্রি। লোকে তার নীচে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে এক এক করে ছবি তুলছে। সিডনির সবচেয়ে উঁচু ক্রিসমাস ট্রি তো বটেই। তর্কযোগ্য ভাবে এই গোলার্ধেরই। এত রাত্তিরেও ছবির জন্য ফেভারিট স্পট হবে আশ্চর্য কী! আশ্চর্য একটাই আলো ঝলমলে ওই ছবি তোলার স্পটের মাত্র ১০০ মিটারের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া এবং গোটা পৃথিবীর শিরদাঁড়ায় হিমস্রোত বইয়ে দেওয়া ঘটনা বয়ে চলেছে। একই রাস্তা। একই সময়। অথচ না দেখলে বিশ্বাস হবে না একটা ছোট রাস্তার দু’টো কোণে আনন্দ এবং বন্দুকধারী উগ্রপন্থীর ত্রাস সৃষ্টিকারী সহাবস্থান সম্ভব।

সিডনির ভরপুর অফিস এলাকার মধ্যে মার্টিন প্লেস নামে এই ছোট রাস্তাটা এক রাতে সারা বিশ্বে পরিচিত হয়ে গিয়েছে। রাস্তাটা নেহাতই পুঁচকে। অথচ তার ওপর একটা আস্ত রেলওয়ে স্টেশন। যা সকাল থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কোনায় কমনওয়েলথ বিল্ডিং। চ্যানেল সেভেনের অফিস। একটু দূরে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ঠিক পাশের রাস্তাটা বকলমে অস্ট্রেলিয়ার ফ্যাশন অ্যাভিনিউ। এত রাত্তিরেও আলো ঝকঝকে এক একটা ব্র্যান্ডের দোকান সেখানে। গুচি, ডেভিড জোন্স, লুই ভিটোঁ, গ্যাপ। ওই ঔজ্জ্বল্য আর ঠিকরে যাওয়া আলোর মধ্যে এক কোণেই যে সভ্যতার গভীর সঙ্কট, এ সত্যি আশ্চর্য বৈপরীত্য। টিভিতে দেখলাম স্থানীয় মনোবিদ বলছেন, জঙ্গিরা এই ধরনের জায়গাই টার্গেট করে। যাতে মানুষের মনে ত্রাস আরও দ্রুত আনা যায়।

এই ষোলো ঘণ্টা ধরে জঙ্গিদের হাতে আটকে থাকা ব্যক্তিদের নাম এবং উগ্রপন্থীর কী দাবিদাওয়া, কিছুতেই প্রকাশ করতে রাজি হয়নি স্থানীয় প্রশাসন। এমনকী পণমুক্তির শর্ত কী কী, তা জেনেও প্রকাশ করেনি অস্ট্রেলিয়ার মিডিয়া। মুম্বইয়ের ২৬/১১-র ঘটনার সঙ্গে এখানেই বড় তফাত! প্রশাসনের মুখে সম্পূর্ণ কুলুপ আঁটা। মুম্বই হামলার ধাঁচে ২০১৩-র সেপ্টেম্বরে নাইরোবির ওয়েস্ট গেট শপিং মলে জঙ্গি হামলার সময়েও এত গোপনীয়তা ছিল না। স্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলোও সরকারের অনুরোধে অনেক সংযত। শুধু মাঝরাতের পর বন্দুকধারী উগ্রপন্থীর নাম প্রকাশ করা হয়। তিনি ৪৯ বছর বয়সী এক ইরানি। অস্ট্রেলিয়ায় আছেন রাজনৈতিক আশ্রয়ে। নাম মান হারুন মনিস।

বন্দুকবাজ মান হারুন মনিস। ছবি: রয়টার্স

নামটা জানা মাত্রই এই ভোররাতেও সোশ্যাল মিডিয়ায়, এফএম চ্যানেলে গর্জে উঠছে মানুষের ক্ষোভ। কারণ এই ব্যক্তিটি আপাতত ফৌজদারি মামলায় জামিন পেয়ে রয়েছেন। অপরাধ, নিজের স্ত্রীর হত্যায় সাহায্য করা। এ ছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে যৌন নিযার্তনের বেয়াল্লিশটা অভিযোগ ঝুলছে। যে মানুষের ইতিহাস এত কলঙ্কিত, সে যে কোনও সময় বেপরোয়া হতে পারে। তার কিছুই হারানোর নেই। মানুষ জানতে চান, হারুন মনিসের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তাকে বাইরে ছেড়ে রাখা হয়েছিল কেন? যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে একগুচ্ছ গুরুতর অভিযোগ রয়েছে এবং যে জামিনে মুক্ত, সে গোপনে এত অস্ত্র জোগাড় করে ফেলল কী করে? কেন তার প্রতি লক্ষ রাখা হয়নি? অস্ট্রেলীয় প্রশাসন এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগে দফায় দফায় আবেদন করছেন, এই ক্রোধ যেন অস্ট্রেলীয় মহাদেশে ধর্মগত বৈষম্য ডেকে না আনে। অস্ট্রেলিয়ার ইসলামিক সংগঠনগুলিও এই ঘটনার তীব্র নিন্দায় মুখর।

হারুন মনিসের সঙ্গে আলোচনা চললেও প্রশাসন যে বড় কোনও পদক্ষেপের জন্য তৈরি হচ্ছিল, তা অবশ্য স্পষ্ট। ওই অঞ্চলের অফিসগুলোয় যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের সরকার অনুরোধ করেছিল মঙ্গলবার কাজে না আসতে। বিস্তারিত অ্যাকশন প্রয়োজন হলে তাদের পুরো খোলা জায়গাটা দরকার হবে, তাই। রাতের দিকে মার্টিন প্লেসে দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাম্বুল্যান্সগুলোর সঙ্গে তিনটে অগ্নিনির্বাপক ট্রাককেও দেখা যাচ্ছিল। রাস্তাটার যে জায়গাটায় সাংবাদিকরা দাঁড়িয়ে, তার বাইরে দড়ি আটকে লাগিয়ে রাখা। তার ডান দিকে একটু এগিয়েই লিন্ড কাফে। দূরত্ব ধর্মতলা মোড় থেকে গ্র্যান্ড হোটেল। বাকি রাস্তাটা আলোয় ভরা। কিন্তু কাফেটা দেখা যাচ্ছে না, কারণ বন্দুকধারী উগ্রপন্থী কাফের সব আলো নিভিয়ে দিয়েছিল আগেই। ফটোগ্রাফার এবং টিভি ক্যামেরা তবু অধৈর্য প্রতীক্ষায় থেকেছে। বিকেল পাঁচটা নাগাদ যেমন পাঁচ জনকে মাথার উপরে হাত তুলে বের হতে দেখা গিয়েছে, তেমন কোনও ফ্রেম যদি হঠাৎ আবির্ভূত হয়!

রাত দু’টোয় চ্যানেল নাইনের রিপোর্টার পিস টু ক্যামেরা শেষ করলেন। দেখলাম ক্যামেরার সামনে উত্তেজিত ভাবে বলছেন, “পুলিশ বলছে এখন উগ্রপন্থীটির সঙ্গে ধৈর্যের লড়াই শুরু হল। এটা আজ রাত কেন, কয়েক দিন চলতে পারে।” পাশের রাস্তায় কয়েকটা অ্যাম্বুল্যান্স দাঁড় করানো ছিল প্রথম থেকেই। মার্টিন প্লেসের সবচেয়ে কাছের হাসপাতাল হল সেন্ট ভিনসেন্ট। গত ২৭ নভেম্বর এখানেই অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় জীবন এবং ক্রিকেটের সবচেয়ে দুঃখজনক মৃত্যু ঘটেছে। মৃতের নাম ফিল হিউজ। সেন্ট ভিনসেন্টে আবার অনেকগুলো শয্যা আগাম বুক করে রেখেছে নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ। প্রয়োজন হলে আহতকে নিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স ছুটবে।

দু’ঘণ্টা বিমান দূরত্বের ব্রিসবেনে আপাতত ভারতীয় ক্রিকেট টিম। ফোনে টিমের মিডিয়া ম্যানেজার ডক্টর আর এন বাবা বললেন, “আমাদের কোনও দুশ্চিন্তার ব্যাপার নেই। নিরাপত্তা যথেষ্ট রয়েছে।” বাবা হয়তো জানেন বা জানেন না যে, সত্যি তা নয়। ভারতীয় বোর্ড সিডনির ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে অস্ট্রেলীয় বোর্ডের মুখ্যকর্তা জেমস সাদারল্যান্ডকে ফোন করেছিল। অস্ট্রেলিয়া আশ্বাস দিয়েছে, বাকি সিরিজে ভারতের নিরাপত্তা যা ছিল, আরও বাড়িয়ে দেবে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া কর্তাদের দুশ্চিন্তা বাকি সিরিজে ভারত বা জানুয়ারির সিডনি টেস্ট ম্যাচ নয়। ফেব্রুয়ারিতে এখানে বিশ্বকাপ শুরু। মার্টিন প্লেসের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এত কাল উগ্রপন্থার আঁচ থেকে মুক্ত দেশকে নতুন করে ভাবতে হবে সব কিছু!

এ দিন সকালে তো হঠাৎই খবর রটে গিয়েছিল যে, বিশ্ববিখ্যাত সিডনি অপেরা হাউসের কাছাকাছি একটা সাদা পুঁটলি পাওয়া গিয়েছে। তার ভেতর শক্তিশালী বিস্ফোরক থাকতে পারে। দিল্লির কাছে যেমন ইন্ডিয়া গেট। কলকাতার যেমন ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। সিডনি এবং অস্ট্রেলিয়ার তেমনই হল অপেরা হাউস। দ্রুত হারবার ব্রিজের ওপর দিয়ে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। খালি করে দেওয়া হয় অপেরা হাউস সংলগ্ন এলাকা। তার পর টিভিতে দেখা যেতে থাকে, অপেরা হাউসে কিছু হয়নি, গণ্ডগোল যা কিছু ওই লিন্ড কাফেকে ঘিরেই। তার ভেতরে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি ব্যাকপ্যাক নিয়ে ঢুকে পড়ে বন্দুকের হুমকিতে গোটা কাফের দখল নিয়ে নিয়েছে। কাফে-র সকলকে পণবন্দি করে সে হুমকি দেয়, এই পতাকাটা তুলে ধরো। নইলে উড়িয়ে দেব। পতাকায় আরব ভাষায় লেখা ঈশ্বর বলে কিছু নেই কিন্তু আল্লাহ্ আছেন। আর মহম্মদ হলেন আল্লাহ্-রই দূত।

জঙ্গি হানার ঘটনা অস্ট্রেলীয় মহাদেশে এই প্রথম। বিহ্বলতার মাত্রা তাই আরও বেশি। পুলিশ হারুন মনিসের কল রেকর্ড চেক করে করে দেখছে, মূল চক্রান্তের বীজ কোথায় লুকিয়ে রয়েছে! এটা কি কোনও ব্যক্তির একক নষ্টামি? না সংগঠিত কোনও চক্রান্ত?

ভোর রাতে অভিযান শেষ হওয়ার পর মনে পড়ছিল, এই মার্টিন প্লেসের ওপরই শেষ বারের মতো ব্র্যাডম্যান-লারউড আচমকা দেখা হয়ে গিয়েছিল। পঞ্চাশ দশকের শেষ দিকে। দু’জনেই যে যাঁর কাজে এসেছিলেন। হঠাৎই মুখোমুখি পড়ে যান। লারউড বলেছিলেন, ডন, আগেকার দিন হলে আমাদের আশেপাশে এতক্ষণে ভিড় জমে গিয়েছে, কী বলো? ব্র্যাডম্যান উত্তর দেননি। হেসে চলে যান।

বেঁচে থাকলে সোমবার তাঁরা টিভিতে দেখতে পেতেন মার্টিন প্লেসে উজাড় করে ভিড় নেমেছে, কিন্তু ক্রিকেট নয় জীবনের মর্মান্তিকতায়!

আত্মসমর্পণ বেলজিয়ামে

সংবাদ সংস্থা • ব্রাসেলস

এক জনকে পণবন্দি করার বেশ কিছুক্ষণ পর পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করল তিন বন্দুকবাজ। আজ ঘটনাটি ঘটেছে বেলজিয়ামের ঘেন্ট শহরে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন শহরের একটি আবাসনে ঢুকে পড়ে চার বন্দুকবাজ। এর পর এক জনকে পণবন্দি করে তারা। পরে তিন বন্দুকবাজ আত্মসমর্পণ করে। চতুর্থ জনের এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে ওই বন্দুকবাজরা কেন ওই ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই ঘটনার সঙ্গে কোনও জঙ্গি সংগঠনের যোগ নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘেন্ট শহরে ওই এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, ওই আবাসনের বাসিন্দারা মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত। এ দিন সকাল থেকেই বিশাল পুলিশ বাহিনী আবাসনটির চার দিক ঘিরে রেখেছিল। আবাসনের বাসিন্দা এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে। পুলিশের নিরাপত্তার ঘেরাটোপে ছিলেন, এমন এক জনের কথায়, “সকাল থেকেই আবাসনের চারধারে কড়া পুলিশি প্রহরা ছিল। আমাদের নিরাপত্তার খাতিরে আশপাশের কয়েকটি বাড়ির ছাদেও উঠে পড়েছিল তারা।” পুলিশ সূত্রের খবর, বন্দুকবাজদের আবাসনে ঢুকতে দেখেন আবাসনেরই এক বাসিন্দা। সে সময় তিনি বাইরে বেরোচ্ছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে ফোন করে খবর দেন তিনি। সোমবার সকালেই অস্ট্রেলিয়ার সিডনির একটি কাফের দখল নিয়েছিল এক জঙ্গি। ঘেন্টের পণবন্দি পর্বের সঙ্গে সিডনির কোনও যোগ নেই বলে জানিয়েছে বেলজিয়াম সরকার।

sydney hostage lindt chocolate cafe haroon monis terrorist attack gautam bhattacharyay
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy