চিকিৎসা চলছে জখম যাত্রীর। ইনসেটে, হামজা মহম্মদ। ছবি: এএফপি
বাসে উঠেছিলেন আর পাঁচ জন যাত্রী সেজে। কিন্তু বাস কিছুটা এগোনোর পরেই পকেট থেকে একটা ছুরি বার করে অন্য যাত্রীদের উপর আক্রমণ শুরু করেন বছর তেইশের এক যুবক। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই অন্তত ১২ জনকে ছুরির আঘাতে জখম করে দেন তিনি। তাঁক থামাতে শেষমেশ তাঁর পায়ে গুলি করে পুলিশ।
আজ সকালে ইজরায়েলের তেল আভিভ শহর এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকল। ইজরায়েল পুলিশের মুখপাত্র মাগেন ডেভিড অ্যাডম জানাচ্ছেন, আততায়ীর নাম হামজা মহম্মদ হাসান মাত্রুক। তিনি ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, অবৈধ ভাবে ওই প্যালেস্তাইনি যুবক ইজরায়েলে ঢুকেছিলেন। সম্ভবত এই হামলার জন্যই তিনি ইজরায়েলে থাকছিলেন। ইজরায়েলের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী জানিয়েছেন, এটা সন্ত্রাসবাদী হামলা। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বক্তব্য, “ইহুদিদের বিরুদ্ধে প্যালেস্তাইন সব সময় যে ভাবে প্ররোচনা দেয়, এটা তারই পরিণাম।” প্যালেস্তাইন সরকার অবশ্য ওই যুবকের সঙ্গে সব সম্পর্ক অস্বীকার করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, আজ সকালে ওল্ড সেন্ট্রাল বাস স্টেশন থেকে ৪০ নম্বর বাসে উঠেছিলেন ওই প্যালেস্তাইনি যুবক। ঠিক দু’টো স্টপ পরে, বাসটি যখন মারিভ সেতুর কাছে মেনাচেম বিগিন রোডে এসে পড়েছে, হঠাৎই আক্রমণ শুরু করেন তিনি। চার দিকে তখন হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে। খবর পেয়ে আসে পুলিশও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে রীতিমতো বেগ পেতে হয় তাদের। শেষে উপায় না দেখে ওই যুবকের পায়ে গুলি করে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
হামজার হামলায় ১২ জন ইজরায়েলি নাগরিক জখম হয়েছেন। আহতদের মধ্যে তিন জনের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। ছুরির আঘাতে বাসচালকও সামান্য আহত হয়েছেন। আপাতত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে হামলাকারী যুবককে। কেন তিনি এ ভাবে এতগুলো লোককে আক্রমণ করলেন, তা জানতে তাঁকে জেরা করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। কিন্তু তিনি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত পুলিশকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। সেনা আদালতে তাঁর বিচার হবে বলে জানিয়েছে ইজরায়েলের সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy