বাংলাদেশের টঙ্গীতে টাম্পাকো কারখানার ধসে পড়া ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে আরও চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৯।
গাজিপুরের জেলাশাসক এসএম আলম বলেন, টাম্পাকো কারখানার ধসে পড়া অংশ রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সরানো শুরু করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এরপর পৌনে ৬টার দিকে ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে চারটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে তাদের পরিচয় নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তারা পথচারী না শ্রমিক তাও বোঝা যায়নি।
শনিবার সকাল ৬টা নাগাদ টঙ্গীর টাম্পাকো কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে আগুন ধরে যায়। ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন) লে. ক. মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন, কারখানাটির আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস এখনও কাজ করছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ভবনের ভেতরে আরও শ্রমিকের মরদেহ থাকতে পারে।
তবে ভবনটি ঝুঁকিপূ্র্ণ হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এখনও ভেতরে প্রবেশ করতে পারেননি বলে জানান তিনি।
ধ্বংসস্তূপ।
এদিকে, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গ থেকে এখন পর্যন্ত ২৫ জনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। যাঁদের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে তাঁরা হলেন- আনিসুর রহমান (৪০), আব্দুল হান্নান (৬৫), ইদরিস আলী (৪০), জাহাঙ্গীর আলম (২৪), মামুন (২৮), রোজিনা (২০), মিজান (২৮-৩০), সাইদুর রহমান (৫০), মাইনুদ্দিন (৩৫), আল মামুন (৪০), হাসান সিদ্দিকি (৩০), সোলেমান (৩২), এনামুল হক (২৮), রাশেদ (২৫), শঙ্কর সরকার (২৫), গোপাল দাস (২৫), রফিকুল ইসলাম (২৮), সুভাষ চন্দ্র প্রসাদ (৩৫),আশিক (১২), দেলোয়ার হোসেন (৫০), আনোয়ার হোসেন (৪০), ওয়াহিদুজ্জামান স্বপন (৩৫), তাহমিনা আক্তার (২০) ও সর্বশেষ রিপন দাস (৩০)।
এ ছাড়া একজনের পরিচয় সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) ভোর ছয়টা পাঁচ মিনিটের দিকে গাজিপুরের টঙ্গীর টাম্পাকো প্যাকেজিং কারখানার পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে কারখানায় আগুন ধরে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ২৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। সেখানে শ্রমিকেরা রাতের শিফটে কাজ করছিলেন। বিস্ফোরণের পর ভবনটি আংশিক ধসে পড়ে।
আরও পড়ুন