ফাইল চিত্র।
সূর্যরশ্মির মতো নিখরচায় বিজলি মিললে বেশ হত। মাসে মাসে ইলেকট্রিক বিল মেটানোর ঝামেলা থাকত না। বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ঢালতে মূলধন খোঁজার দরকার ছিল না। সোলার এনার্জিকে ধরে রেখে কাজে লাগানো গেলেও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। সূর্যকে নিয়ে আরও বড় মুশকিল সময় নিয়ে। সুয্যিমামা বারো ঘণ্টার বেশি ডিউটি করতে নারাজ। তাঁর ছুটির সময়টা কী হবে। কৃষি উৎপদনে রোদ্দুর অপরিহার্য, শিল্পোৎপদনে নয়। নিত্যপ্রয়োজন ছাড়া সবচেয়ে বেশি বিদ্যুতের চাহিদা শিল্প কলকারখানায়। বিদ্যুৎ নেই তো কিছু নেই।
শিল্পোন্নয়নে পা বাড়িয়েই সত্যিটা উপলব্ধি করেছে বাংলাদেশ। বিদ্যুৎ বৃদ্ধিতে মরিয়া। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতটা পারছেন বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। উৎপাদন কেন্দ্রের জ্বালানি হিসেবে আগে গ্যাসটাই ব্যবহার করা হত। তাতে সবচেয়ে সুবিধে ছিল, পরিবেশ সুরক্ষায়। দূষণের ভয় থাকত না। নতুন নতুন কারখানায় হু হু করে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। জ্বালানিতে টান পড়ছে। জোগান দেওয়ার মতো অত গ্যাস কোথায়। বাধ্য হয়ে গ্যাসের জায়গায় কয়লা। তাতে বিতর্ক কম নয়। দূষণের প্রশ্ন উঁকি মারছে। তার উত্তর দিতে পারে বিশ্বই। শুধু ইউরোপ, আমেরিকায় নয়, দুনিয়ায় বেশিরভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র চলে কয়লায়। পরিবেশ বাঁচিয়েই কাজটা চলছে। অন্য জ্বালানির থেকে কয়লার সাপ্লাই বেশি। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের খাবার হিসেবে কয়লাই সবার আগে।
আরও পড়ুন: পুলিশ ঢুকতেই বোমায় নিজেদের ওড়াল ৩ জঙ্গি
পরমাণু শক্তির অসামরিক ব্যবহারে ভারত-রাশিয়া চুক্তি হয়েছে ২০১৪তে। সেই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী তৃতীয় শক্তি হিসেবে বাংলাদেশকে কাছে টানা যেতে পারে। রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি হয়েছে ২০১০-এ। পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারই তার উদ্দেশ্য। ভারত-রাশিয়া-বাংলাদেশের আর ত্রিপাক্ষিক চুক্তির দরকার নেই। ঢাকা থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে পরমাণু প্রকল্পের পরিকাঠামো গড়ার কাজ শেষ করেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ-ভারতের পরমাণু সহযোগিতা পরিধি বাড়াতে দু'দেশ আরও একটি চুক্তিতে সই করবে। তার জন্য রাশিয়ার সম্মতির দরকার নেই। তিনটি দেশই একই সঙ্গে পরমাণু শক্তির নবতর বিন্যাসে কাজ করবে। হাসিনার ভারত সফরে প্রধান কাজ দু'দেশের পরমাণু প্রকল্পে হাত ধরে চলার গ্যারান্টি। যাতে পাশে থাকবে রাশিয়াও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy