Advertisement
E-Paper

তামিমকাণ্ডে খালেদা জিয়ার মন্তব্যে অসন্তুষ্ট বাংলাদেশ পুলিশ

নারায়ণগঞ্জে অভিযান বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ সদর দফতর ও ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৬ ১০:৫৪
পুলিশি অভিযানে হত তামিম আহমেদ।  —ফাইল চিত্র।

পুলিশি অভিযানে হত তামিম আহমেদ। —ফাইল চিত্র।

নারায়ণগঞ্জে অভিযান বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ সদর দফতর ও ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

নারায়ণগঞ্জে শনিবারের অভিযানে গুলশন হামলার হোতা নিউ জেএমবি প্রধান তামিম চৌধুরী-সহ তিন জন নিহত হওয়ার পর খালেদা জিয়া বলেছিলেন, “জীবিত ধরলে ‘সত‌্যিকারের তথ‌্য’ বেরিয়ে আসত বলে জঙ্গিদের মেরে ফেলা হচ্ছে।” এর প্রতিক্রিয়ায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামি লিগের নেতাদের কটাক্ষ, “জঙ্গিদের মদত দিচ্ছেন বলেই তাদের প্রতি খালেদার দরদ প্রকাশিত হচ্ছে।”

রবিবার পুলিশ সদর দফতর এবং ডিএমপি-র বিবৃতি আলাদা হলেও মূল বক্তব্য মোটামুটি একই। পুলিশ সদর দফতরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পুলিশের অভিযানকে বিএনপি চেয়ারপার্সনের ‘সাজানো নাটক’ বলা উদ্দেশ্যমূলক, দুঃখজনক এবং অনভিপ্রেত। তার এ ধরনের বক্তব্যে জঙ্গিরা উৎসাহিত হতে পারে। কোনও দায়িত্বশীল ব্যক্তির কাছ থেকে এ ধরনের বক্তব্য অপ্রত্যাশিত।’ আর ডিএমপি-র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিএনপি চেয়ারপার্সনের মতো দায়িত্বশীল এক জন নাগরিকের কাছ থেকে এ ধরনের বক্তব্য শুধু পুলিশকেই নয় বরং সমগ্র জাতিকে হতাশ করেছে। যেখানে নিহত জঙ্গিদের পরিবার ও আত্মীয়স্বজন তাদের লাশ গ্রহণে অসম্মতি জ্ঞাপন করছেন সেখানে এমন সফল অভিযান সম্পর্কে ‘মনগড়া’ তথ্য প্রদান করে অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করা জঙ্গিদের কার্যক্রমকে সহায়তায় তথা মদতের সামিল। বিএনপি চেয়ারপার্সনের এ ধরনের কুরুচিপূর্ণ, দুরভিসন্ধিমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই।’

খালেদা জিয়ার সন্দেহ প্রকাশের প্রেক্ষিতে নারায়ণগঞ্জ ও কল‌্যাণপুরের অভিযানের বর্ণনা তুলে ধরা হয় বিবৃতিতে। তাতে বলা হয়েছে, ‘তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানোর সময় প্রথমে জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের জন্য সময় দেওয়া হয়। তারা তা না করে পুলিশকে ‘মুরতাদ, জাহান্নামি’ বলে গ্রেনেড হামলা চালানোর পর পুলিশ বাধ‌্য হয়ে অভিযানে যায়।’ কল‌্যাণপুরে এক জনকে জীবিত আটকের বিষয়টি তুলে ধরে ডিএমপি বলেছে, ‘যে কোনও ঘটনায় পুলিশের উদ্দেশ্য থাকে সব আসামিকেই জীবিত গ্রেপ্তার করা। কল্যাণপুরের ঘটনায় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে জঙ্গিদের প্রতি গুলি ছুড়েছে যাতে নয় জন নিহত ও এক জনকে জীবিত গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যদি ঘটনা সাজানো হত, তা হলে রিগ্যানকে জীবিত রাখা হত না।’

অভিযানে উদ্ধার অডিও, ভিডিও, স্থিরচিত্রের মাধ্যমে নিহতদের জঙ্গি কার্যক্রমে জড়িত থাকার অকাট্য প্রমাণ মেলার কথাও বিবৃতিতে বলা হয়েছে। গুলশন, কল্যাণপুর ও নারায়ণগঞ্জের তিনটি অভিযানই দিনের আলোতে সংঘটিত হয়েছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এ সব অভিযানের কার্যক্রম স্থানীয় জনগণ সরাসরি প্রত্যক্ষ করেছে। জনগণ পুলিশকে সাধুবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছে।’

আরও পড়ুন

নিজেই নিজেকে ‘বাংলার বাঘ’ বানিয়েছিল তামিম

Khaleda Zia Tamim Ahmed
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy