ঢাকার সুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে ‘জাস্টিসিয়া’ ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলার পরে প্রতিবাদে ফেটে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। ছবি: এপি।
হেফাজতে ইসলামির দাবি মেনে সুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে ‘জাস্টিসিয়া’ ভাস্কর্য সরিয়ে ফেলার বিরুদ্ধে সরকারের ভিতরে-বাইরে প্রতিবাদ উঠেছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এই কাজ করা হয়। বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ‘‘এই সিদ্ধান্তের পরিণাম দেশ ও জাতির পক্ষে ভয়ানক হবে। মৌলবাদীরা এর পরে অন্য ভাস্কর্যগুলি ভাঙার দাবি তুলবে!’’
সরকারের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল বিবৃতিতে বলেছে, ‘মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া দলের প্রধান নেত্রীর কাছ থেকে ভুল ও লজ্জার বার্তা গেল।’ মানবাধিকার নেত্রী সুলতানা কামাল বলেছেন, ‘‘ন্যায় বিচারের প্রতীক নারী বলেই আপত্তি মৌলবাদীদের। ভাস্কর্যটি সরিয়ে দেশের নারীদেরও অপমান করা হল।’’
আরও পড়ুন: ভাস্কর্য সরানোয় বিক্ষোভ, লাঠি-গ্যাস ঢাকায়
সাংস্কৃতিক আন্দোলনের নেতা কামাল লোহানী বলেন, ‘‘লালনের ভাস্কর্য মৌলবাদীরা নিজেরাই ভেঙেছে। মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য ভাঙার দাবি আগেই উঠেছে। এ বার বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার দাবিও কি আমাদের মানতে হবে?’’ লোহানী সাহেবের প্রশ্ন— ক্ষমতাসীন দল যদি সাম্প্রদায়িক শক্তির কাছে নতজানু হয়ে পড়ে, তখন দেশের মানুষ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে?
গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে মন্তব্য করেছেন, ‘‘সরকারের হেফাজতিকরণ রুখতে হবে।’’
পাশাপাশি হেফাজতে ইসলাম ও অন্য কয়েকটি মৌলবাদী দল শুক্রবার জাতীয় মসজিদের সামনে সভা করে তাদের দাবি মেনে রমজান শুরুর আগেই ভাস্কর্যটি সরিয়ে ফেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সাধুবাদ জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy