Advertisement
E-Paper

ভোটের মুখে ভারতে বিএনপি নেতারা

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে কলকাতায় মার্কিন কনসুলেট ঘুরে গিয়েছেন এই দুই নেতা। এঁদের মধ্যে আবদুল আউয়াল মিন্টু ব্যবসায়িক সংস্থা ‘প্রগতি গ্রুপ’-এর প্রধান। আমির খসরু খালেদার আমলে বিদেশমন্ত্রী ছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৮ ০২:৫৫

বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে সম্প্রতি কলকাতা ও নয়াদিল্লি ঘুরে গেল দুর্নীতির দায়ে কারাবন্দি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দল বিএনপি-র একটি দল। বিএনপি-র স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য আবদুল আউয়াল মিন্টু, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির এই দলের হয়ে নয়াদিল্লিতে সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠ বিজেপিনেতা রাম মাধব ও বিদেশ প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবরের সঙ্গে দেখা করেছেন বলে রাজনৈতিক সূত্রের খবর।

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে কলকাতায় মার্কিন কনসুলেট ঘুরে গিয়েছেন এই দুই নেতা। এঁদের মধ্যে আবদুল আউয়াল মিন্টু ব্যবসায়িক সংস্থা ‘প্রগতি গ্রুপ’-এর প্রধান। আমির খসরু খালেদার আমলে বিদেশমন্ত্রী ছিলেন। তাঁরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কিছু কর্তার সঙ্গেও কথা বলেছেন। মূলত বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে তাঁরা কথা বলেছেন, এমনটা জানানো হলেও বাংলাদেশে নির্বাচনের মুখে এই তৎপরতার ভিন্ন কূটনৈতিক মাত্রা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রথাগত ভাবে ভারত-বিরোধী রাজনীতির জন্য পরিচিত বিএনপি কয়েক মাস ধরেই ভারতীয় নেতৃত্বের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করে চলেছে। কূটনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, আমেরিকাও খালেদার দল ও তার জোটসঙ্গী জামাতে ইসলামির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছে। ওয়াশিংটন বরাবরই বিএনপি-জামাতের পাশে, এমন অভিযোগ রয়েছে শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লিগের।

সফরের আগেও আরএসএস-এর মাধ্যমে মোদী সরকারের কাছে বার্তা পৌঁছনোর চেষ্টা করেছে বিএনপি-জামাত জোট। সেই বার্তাটি হল, শুধুমাত্র ক্ষমতাসীন আওয়ামি লিগের প্রতি কূটনৈতিক পক্ষপাত বহাল না-রেখে তাঁদের সঙ্গেও একটা বোঝাপড়া করুক সাউথ ব্লক। ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশে ভারতের বিনিয়োগ বাড়াতে নানা ধরনের ছাড় দেবে তারা। জানুয়ারি মাসে নাগপুরে আরএসএস-এর একটি অংশের সঙ্গে বিএনপি-র কয়েক জন প্রতিনিধি দেখা করে যান। বছর খানেক আগে খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান, সেখানেও সঙ্ঘের প্রবাসী কিছু নেতার সঙ্গে তাঁর কথা হয়। তাঁদের মাধ্যমে মোদী সরকারকে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা হলেও বিশেষ কাজ হয়নি।

দেশে ফিরে তিন নেতা সাংবাদিক সম্মেলন করে দাবি করেছেন, বিএনপি সম্পর্কে ভারতের ধারণা বদলানোর ইঙ্গিত পেয়েছেন তাঁরা। ভারতের মানুষ চান বিএনপি-র অংশগ্রহণে বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। কিন্তু তার কয়েক দিন পরেই দলের অস্থায়ী চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনে দেখা করে এসে বিএনপি-র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির জানিয়েছেন, খালেদার মুক্তি এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন না হলে তাঁরা অংশ নেবেন না।

BNP বিএনপি Khaleda Zia
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy