বাংলাদেশ সম্ভাবনার দেশ উল্লেখ করে সেখানে বিনিয়োগ বাড়াতে চায় তিন। এবং বিনিয়োগকারী হিসাবে আসতে চায় শীর্ষে। এমনটিই জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চিনের রাষ্ট্রদূত মা মিং চিয়াং। ঢাকায় আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-চিন সম্পর্ক : সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে এই প্রত্যাশার কথা বলেন চিনের রাষ্ট্রদূত।
চলতি মাসেই চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বাংলাদেশ সফরে আসছেন। সেই উপলক্ষেই সেমিনারটির আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশ চিনের সঙ্গে বাণিজ্য ভারসাম্য বাড়াতে চায়।
চিনের সঙ্গে বাংলাদেশে বাণিজ্য–ঘাটতি প্রায় ৯০০ কোটি ডলারের। বাংলাদেশ চিনে ৮০ কোটি ৮ লক্ষ ডলারের পণ্য রফতানি করে। চিন বাংলাদেশে রফতানি করে ৯৬৪ কোটি ডলারের পণ্য। বর্তমানে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগকারী দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, চিনের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফর একটি মাইলফলক। চিনের সঙ্গে বাণিজ্য–ঘাটতি নিরসন নিয়ে আলোচনা বাংলাদেশের অন্যতম একটি বিষয়। বাংলাদেশ চায় বাণিজ্যে একটা ভারসাম্য আনা। চিনের বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা চাইবে বাংলাদেশ। এ ছাড়াও কম খরচে চিনের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থ সহায়তা, প্রযুক্তি, ব্যবস্থাপনা ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি, চিনের বাজারে বাংলাদেশে পণ্যের প্রবেশ, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও চিনের বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পণ্যের বাজারজাত করার ক্ষেত্রে সুবিধা পাবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে চিনের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, নির্ভরযোগ্যতা ও বিশ্বাসের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ। চিনা প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফর উপলক্ষে তারা বেশ কিছু বিষয় চূড়ান্ত করার কাজ করছেন। বিষয়গুলো চূড়ান্ত হলে বাংলাদেশ আর চিনের সম্পর্কের গভীরতা বাড়বে। চিন বাংলাদেশে বিনিয়োগে এক নম্বর দেশ হতে চায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।