Advertisement
E-Paper

পাকিস্তানকে জঙ্গি রাষ্ট্র ঘোষণা করা হোক, চায় ঢাকা

পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র’ হিসেবে চিহ্নিত করা উচিত রাষ্ট্রপুঞ্জের। এমনটাই মনে করে বাংলাদেশ। বাকি দুনিয়ায় তারা সন্ত্রাস রফতানী করে, ভারতের তোলা এই দাবির পাশে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশও চায় গোটা বিশ্বে একঘরে হয়ে উঠুক পাকিস্তান।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৪:৪৬
২০১৪-র সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিয়েছিল ভারত, আফগানিস্তান, ভুটান এবং বাংলাদেশ। কিন্তু এ বার এই চার দেশই বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

২০১৪-র সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিয়েছিল ভারত, আফগানিস্তান, ভুটান এবং বাংলাদেশ। কিন্তু এ বার এই চার দেশই বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র’ হিসেবে চিহ্নিত করা উচিত রাষ্ট্রপুঞ্জের। এমনটাই মনে করে বাংলাদেশ।

বাকি দুনিয়ায় তারা সন্ত্রাস রফতানী করে, ভারতের তোলা এই দাবির পাশে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশও চায় গোটা বিশ্বে একঘরে হয়ে উঠুক পাকিস্তান। এই বার্তা আরও স্পষ্ট করতে আগামী নভেম্বরে ইসলামাবাদের সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবে না বাংলাদেশ। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক মঙ্গলবার জানিয়েছিল, সার্ক সম্মেলন তাদের পক্ষে সফল করা সম্ভব নয়। বয়কটের এই সিদ্ধান্ত ভারত ইতিমধ্যেই সার্কের চেয়ার-দেশ নেপালকে জানিয়ে দিয়েছে।

বয়কটের এই ইস্যুতে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও ভুটানকে পাশে পেয়েছে ভারত। ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলি জানিয়েছেন, সার্কের ইতিহাসে এই প্রথম আট সদস্যের মধ্যে চারটি দেশ শীর্ষ সম্মেলন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাঁর মতে, এটা ইসলামাবাদের জন্য অত্যন্ত কড়া বার্তা। ভবিষ্যতে পাকিস্তান তার বিদেশ নীতি কোন পথে চালাবে, তা তাদেরই ঠিক করতে হবে।

উরির সেনা ছাউনিতে জঙ্গি হামলার আগে থেকেই ইসলামাবাদ-ঢাকার সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছয়। ১৯৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে কেন্দ্র করে দু’দেশের মধ্যে টানাপড়েন তীব্র আকার নেয়। তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পাকিস্তান নাক গলাতে চাইছে বলে অভিযোগ তোলে বাংলাদেশ। অযাচিত সেই হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে ইসলামাবাদে সার্ক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীদের সম্মেলনে আমলাদের পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ। উরি-হামলার পরে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান সার্কের চেয়ার-দেশ নেপালকে চিঠি দিয়েছে। সার্কভুক্ত একটি দেশ সার্ক-এরই অন্য একটি সদস্য দেশে যে ভাবে নাশকতা চালাচ্ছে, তার তীব্র নিন্দা করা হয় ওই দুই চিঠিতে। এর পরেই ভুটানের সঙ্গে ভারতের পাশে দাঁড়াল ওই দুই দেশ।

সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে আঞ্চলিক সহযোগিতা, যোগাযোগ এবং পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু, উরি হামলার পর সেই আলোচনা কতটা সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মুয়াজ্জেম আলি। তিনি জানিয়েছেন, আয়োজক দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী যেখানে পারমাণবিক বোমার হুমকি দেন, সে দেশে আলোচনা কী ভাবে সম্ভব? তাঁর কথায়, ‘‘পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর কথাতেই তো স্পষ্ট, পরিস্থিতি শীর্ষ সম্মলনের জন্য অনুকূল নয়। পারমাণবিক আক্রমণ আর যুদ্ধ নিয়ে তো আর কথা বলা যায় না!’’

সন্ত্রাস নিয়ে সার্কভুক্ত একাধিক দেশ এককাট্টা হওয়ায় এবং সার্ক সম্মেলন বাতিলের যাবতীয় দায় ইসলামাবাদের উপর চাপিয়ে দেওয়ায় আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আরও চাপের মধ্যে পড়বে পাকিস্তান। সার্ক সম্মেলন বয়কটের সিদ্ধান্ত ভারত-পাক সম্পর্কের সাম্প্রতিক টানাপড়েনে নিঃসন্দেহে নতুন মাত্রা জুড়েছে। পাশাপাশি ভারত বাণিজ্য ক্ষেত্রেও পাকিস্তানকে দেওয়া সুবিধা কেড়ে নিতে চাইছে। সেই সঙ্গে পাকিস্তানকে দেওয়া বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত দেশ (মোস্ট ফেভার্ড নেশন বা এমএফএন)-এর মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার চিন্তাভাবনাও শুরু হয়েছে ভারত।

আরও পড়ুন: ইসলামাবাদে সার্ক সম্মেলনে যাচ্ছে না বাংলাদেশ

Bangladesh Pakistan declared as a terrorist state
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy