Advertisement
E-Paper

সাবেক প্রধান বিচারপতির বই, বিতর্ক ঢাকায়

সম্প্রতি তাঁর নামে একটি বই প্রকাশিত হয়েছে, যাতে দাবি করা হয়েছে— শেখ হাসিনার সরকার তাঁকে জোর করে ইস্তফা দিতে বাধ্য করে দেশছাড়া করেছে। দুর্নীতির অভিযোগগুলিও সাজানো।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:২৬

ফের সুরেন্দ্রকুমার সিনহা। বিচারবিভাগের অধিকার নিয়ে দেওয়া একটি রায়কে ঘিরে সরকারের সঙ্গে প্রবল সংঘাতের জেরে গত বছর প্রধান বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিদেশে চলে যান সিনহা। তার আগে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রাষ্ট্রপতির কাছে দরবার করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ১০ জন বিচারপতি। সম্প্রতি তাঁর নামে একটি বই প্রকাশিত হয়েছে, যাতে দাবি করা হয়েছে— শেখ হাসিনার সরকার তাঁকে জোর করে ইস্তফা দিতে বাধ্য করে দেশছাড়া করেছে। দুর্নীতির অভিযোগগুলিও সাজানো।

ডিসেম্বরে নির্বাচনের আগে সাবেক প্রধান বিচারপতির নামে প্রকাশিত ‘আ ব্রোকেন ড্রিম’ বইটি উত্তাপ ছড়াতে পারত। কিন্তু তা হয়নি। কারণ গত এক মাস ধরে আরও কতগুলি খবর সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত হয়ে বিচারপতি সিনহার ভাবমূর্তিতে বড়সড় ধাক্কা দিয়েছে।

অগস্টের মাঝামাঝি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র এবং তাঁর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ফেসবুক পোস্টে জানান, ‘সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য’ জামাতে ইসলামির কাছ থেকে বিপুল অর্থ পেয়েছেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি। নিউ ইয়র্কে তাঁর হাতে এই অর্থ তুলে দেন ফাঁসি হয়ে যাওয়া রাজাকার শিরোমণি মির কাসেমের ভাই মির মামুন ওরফে মাসুম। জয় লেখেন, ‘একটি ষড়যন্ত্রকে সফল করতে দরকার হয় উচ্চ পর্যায়ের ও ক্ষমতাবান কাউকে। যেমন সিনহা বা শহিদুল আলম।’

গোয়েন্দা সূত্র উদ্ধৃত করে বাংলাদেশের একাধিক সংবাদ মাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করে, বিচারপতি সিনহার নাম দেওয়া হলেও বইটি লেখা হয়েছে ঢাকায়। বিএনপি-জামাতপন্থী অন্তত চার জন সাংবাদিক বইটি লিখেছেন। বিচারপতি সিনহা সেটি নিজের নামে প্রকাশের অনুমতি দেওয়ার জন্য বিপুল অর্থ নিয়েছেন। ২১টি ফাইল তিনি দেখে দেওয়ার পরে তা যায় বিএনপি-জোটের নতুন নেতা গণফোরামের কামাল হোসেনের কাছে। বিচারপতি সিনহাকে টাকা দেওয়া এবং বইটি প্রকাশনার খরচ পুরোটাই দিয়েছেন জামাতের নেতা মির মাসুম। জামাতের অর্থেই ওই বিচারপতি এখন নিউ ইয়র্কে একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে বসবাস করছেন।

বইটি প্রকাশের পরে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি দুটি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দিলেও নতুন অভিযোগগুলি নিয়ে মুখ খোলেনি। আনন্দবাজারও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানতে পারেনি। কিন্তু এই সংবাদগুলি প্রকাশ্যে আসার পরেই সিনহার নামে বইটি বাজারে আসায়, সেটি কোনও প্রভাবই ফেলতে পারেনি। বিএনপি সূত্রে খবর, এই কারণে তারা বইটি দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার যে পরিকল্পনা নিয়েছিল, আপাতত তা স্থগিত রেখেছে।

Book Controversy Dhaka Bangladesh Chief Justice
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy