Advertisement
E-Paper

অর্থ পাচারে দোষী খালেদা, পাঁচ বছরের জেল

এ দিন রায়ের আগে থেকেই ঢাকাকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলেছিল প্রশাসন। মিটিং-মিছিল নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। মোড়ে মোড়ে পুলিশ চৌকি ছাড়াও আধাসেনা টহল দিয়েছে রাস্তায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:১১
জেলের পথে। বৃহস্পতিবার। ছবি: এপি।

জেলের পথে। বৃহস্পতিবার। ছবি: এপি।

অনাথাশ্রম গড়তে সৌদি রাজার কাছ থেকে দু’কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা নিয়ে তা সরিয়ে ফেলা হয়েছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দুই ছেলের ব্যক্তিগত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। তার পরে সেই টাকায় বগুড়ায় জমি-বাড়ি কেনা হয় ব্যক্তিগত নামে। টানা দশ বছর মামলা চলার পরে বৃহস্পতিবার জিয়া এতিমখানা তহবিল দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দিল ঢাকা পঞ্চম জজ বিশেষ আদালত। সঙ্গে লোপাট হওয়া টাকার সম পরিমাণ জরিমানা। প্রাক্তন সেনাশাসক হুসেইন মহম্মদ এরশাদের পরে খালেদা বাংলাদেশের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপ্রধান, দুর্নীতির মামলায় যাঁর কারাদণ্ড হল। রায়ের পরই এই বিএনপি নেত্রীকে ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যায় পুলিশ। জামিন না-পাওয়া পর্যন্ত সেখানেই থাকবেন তিনি।

এ দিন রায়ের আগে থেকেই ঢাকাকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলেছিল প্রশাসন। মিটিং-মিছিল নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। মোড়ে মোড়ে পুলিশ চৌকি ছাড়াও আধাসেনা টহল দিয়েছে রাস্তায়। আদালত থেকেই খালেদার বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাসকে পুরনো মামলায় গ্রেফতার করে পুলিশ। রায়ের পরে বিএনপি কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বার করার চেষ্টা করলে পুলিশ তা বানচাল করে দেয়। বিএনপি-র কয়েক জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতারও করা হয়। সিলেট ও চট্টগ্রামে বিএনপি ও শাসক আওয়ামি লিগের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। বিএনপি এই রায় প্রত্যাখ্যান করে শুক্রবার থেকে দু’দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিলেও জানিয়েছে, তা শান্তিপূর্ণ থাকবে। তবে শরিক জামাতে ইসলামি খালেদার রায় নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। বিক্ষোভে তাদের কর্মীদের দেখাও যায়নি। লন্ডন থেকে বিএনপি-র অস্থায়ী চেয়ারম্যান হিসাবে তারেক রহমান বিবৃতিতে বলেছেন, সাজানো এই রায় প্রমাণ করে দেশে ন্যায়বিচারের সুযোগ নেই।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮-এ করা এই মামলায় খালেদার পুত্র তারেক রহমান ছাড়াও চার জনকে আসামি করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন। খালেদা ছাড়া প্রত্যেককে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও লোপাট হওয়া টাকার পরিমাণ জরিমানা করেছে আদালত। বিচারক আখতারুজ্জামান জানিয়েছেন, বাকিদের সমান অপরাধ প্রমাণ হওয়া সত্ত্বেও ‘বয়স ও সামাজিক মর্যাদা’ বিবেচনা করে খালেদাকে কম শাস্তি দেওয়া হল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল জানিয়েছেন, নিয়ম মেনে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদাকে সব রকম সুবিধা দেওয়া হবে। সূত্রের খবর, জেলে দু’টি কারাকক্ষকে খালেদার জন্য তৈরি রাখা হয়েছিল। পাশে একটি স্নানঘরও তৈরি করা হয়েছে। ঘরে বৈদ্যুতিক পাখা লাগানো হলেও টিভি-র ব্যবস্থা থাকছে না।

খালেদা, তারেক ও অন্য ৪ আসামির আইনজীবীরা রায়ে স্থগিতাদেশ ও জামিন চেয়ে হাইকোর্টে মামলা করছেন। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সাংসদ কাজি সালিমুল হক, তৎকালীন মুখ্যসচিব কামালুদ্দিন সিদ্দিকি, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ।

Khaleda Zia Bangladesh খালেদা জিয়া
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy