Advertisement
E-Paper

বাংলাদেশে এ বার চার্চের প্রহরীকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা

বাংলাদেশে এ বার চার্চের প্রহরীকে কুপিয়ে মারার চেষ্টা করল দুষ্কৃতীরা। পাবনার চাটমোহর উপজেলায় আজ ভোরের এই ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। এই হামলার সঙ্গে উগ্র মৌলবাদীদের কোনও যোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৭ ১৩:৫৩
জখম প্রহরী।

জখম প্রহরী।

বাংলাদেশে এ বার চার্চের প্রহরীকে কুপিয়ে মারার চেষ্টা করল দুষ্কৃতীরা। পাবনার চাটমোহর উপজেলায় আজ ভোরের এই ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। এই হামলার সঙ্গে উগ্র মৌলবাদীদের কোনও যোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

পাবনার মথুরাপুরে সেন্ট রিটা চার্চের পরিচালনা কমিটির সদস্য মার্টিন ডমিনিক রোজারিও জানান, শুক্রবার ভোর ৪টে নাগাদ এ ঘটনা ঘটেছে। গির্জার নৈশপ্রহরী ৬৫ বছর বয়সী গিলবার্ট কস্তাকে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পাবনার পুলিশ সুপার জিয়াদুল কবীর আনন্দবাজার পত্রিকাকে বলেন, আহত গিলবার্ট কস্তা কয়েকজন হামলাকারীর নাম বলেছেন এবং সেই অনুযায়ী তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। এই হামলার সঙ্গে জঙ্গি-যোগ না থাকার সম্ভাবনাই বেশি বলে মনে করেন তিনি।

মার্টিন ডমিনিক রোজারিও বলেন, “প্রতি দিনের মত বৃহস্পতিবার রাতেও গির্জার সামনে দায়িত্ব পালন করছিলেন নৈশপ্রহরী গিলবার্ট।
ভোরের দিকে কয়েকজন এসে চার্চের চাবি চায়। চাবি না দিলে তারা জোর করে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে। তখন বাধা দিলে তারা গিলবার্টকে কুপিয়ে জখম করে। চিৎকার শুনে পাশের দোকানিরা এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়।”
গিলবার্টের স্ত্রী মেরি কস্তা বলেন, “চার্চের পাশের দোকানিরা বাড়িতে খবর দেয়। আমরা গিয়ে ওকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাই। ওর কপাল ও হাত-পায়ে কুপিয়েছে।”
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, “ঘটনার পর পুলিশ রাজীব, মুরাদ ও ফরিদ নামে তিনজনকে আটক করেছে। তাদের সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তারা মথুরাপুরের পাশের লাউদিয়া গ্রামের বাসিন্দা।” তবে গিলবার্ট কস্তাকে কোপানোর ঘটনায় জঙ্গিদের হাত রয়েছে কি না সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।

আরও পড়ুন: দুনিয়ার সেরা ধনীদের তালিকায় এই প্রথম এক বাংলাদেশি

ঢাকার গুলশনের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক অভিযানের ফলে বেশ কিছু দিন ধরেই পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ২০১৫ সালের শুরু থেকে ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত সময়ে একের পর এক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী লেখক, ব্লগার, প্রকাশকরা। ধর্মীয় সংখ্যালঘুরাও হয়েছেন জঙ্গি কায়দায় হামলার শিকার। গত বছর ১০ জুন পাবনায় অনুকূল চন্দ্র ঠাকুরের সেবাশ্রমের সেবক নিত্যরঞ্জন পাণ্ডেকে (৬০) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ সব ঘটনার অধিকাংশই ঘটেছে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে। পরবর্তী কালে এই ঘটনাগুলোতে নিউ জেএমবির মদত প্রমাণিত হয়েছে।

Saint Rita Church Attack in Church Pubna Church Attack
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy