অনন্তবিজয় দাস। —ফাইল চিত্র।
সিলেটের ব্লগার ও মুক্তমনা লেখক অনন্তবিজয় দাস (৩২) হত্যা মামলায় পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত। তদন্তের পর আদালতে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়ার আদেশ দেন বিচারক। মঙ্গলবার সিলেট মহানগর বিচারিক হাকিম আদালত-২ এর বিচারক হরিদাস কুমার অভিযোগপত্রের বিষয়ে শুনানি শেষে এ নির্দেশ দেন।
আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) খোকন দত্ত জানিয়েছেন, “অভিযোগপত্রে ত্রুটি থাকায় আদালত শুনানি শেষে পুনরায় তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।” গত ২৮ অগস্ট এ মামলার তদন্তকারী অফিসার ঢাকা সিআইডি-র পরিদর্শক আরমান আলি পাঁচ জনের বিরদ্ধে আদালতে চার্জশিট দায়ের করেন। ওই অভিযুক্তরা হল, সিলেটের কানাইঘাট থানার ফালজুড় গ্রামের আবুল হোসেন ওরফে আবুল হোসাইন (২৫), খালপাড় তালবাড়ি গ্রামের ফয়সাল আহমদ (২৭), সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর থানার বীরেন্দ্র নগর বাগলী গ্রামের হারুনুর রশিদ (২৫), কানাইঘাট থানার পূর্ব ফালজুড় গ্রামের মান্নান ইয়াহইয়া ওরফে মান্নান রাহি ওরফে এবি মান্নান ইয়াহিয়া ওরফে ইবনে মইন (২৪) এবং ফালজুড় গ্রামের আবুল খায়ের রশিদ আহম্মদ (২৪)। এদের মধ্যে মান্নান ইয়াহইয়া ও আবুল খায়ের জেলবন্দি। বাকিরা পলাতক।
অভিযোগপত্রে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক ও পরে জামিনে ছাড়া পাওয়া সিলেটের আলোকচিত্রী ইদ্রিস আলি-সহ ১১ জনকে এ মামলায় গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও ‘অপরাধে যথাযথ প্রমাণ না পাওয়ায়’ অভিযোগপত্রে তাদের অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেন তদন্তকারী অফিসার।
গত ২০১৫ সালের ১২ মে সিলেটের সুবিদবাজারের নুরানী আবাসিক এলাকার চৌরাস্তার মোড়ে হামলার শিকার হন অনন্তবিজয়। মুখোশধারী দুষ্কৃতীরা তাঁকে কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এ ঘটনায় তাঁর বড় ভাই রত্নেশ্বর দাস অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা বিরদ্ধে অভিযোগ করে হত্যা মামলা করেন। মামলার বলা হয়, লেখালেখির কারণে উগ্র ধর্মান্ধগোষ্ঠী পরিকল্পিত ভাবে অনন্তকে হত্যা করেছে। প্রথমে পুলিশ তদন্ত করলেও পরে মামলাটির তদন্তভার সিআইডি-র অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগকে দেওয়া হয়। অনন্তবিজয় দাস পূবালী ব্যাঙ্কের সিলেট জাউয়াবাজার শাখায় কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy